1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাক্রোঁকে চড় মেরেছে চরম-দক্ষিণপন্থিরা

১০ জুন ২০২১

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁকে চরম দক্ষিণপন্থিরা চড় মেরেছিল বলে সন্দেহ। এব্যাপারে দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

https://p.dw.com/p/3ufwU
মাক্রোঁকে চড় মারার জন্য দুই জনকে ধরেছে পুলিশ। দুই জনই চরম দক্ষিণপন্থি বলে সন্দেহ।ছবি: Philippe Desmazes/REUTERS

এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে পুলিশ হিটলারের আত্মজীবনী 'মাইন কাম্ফ' উদ্ধার করেছে। গত মঙ্গলবার ড্যানিয়েন ট্যারেল মাক্রোঁকে চড় মারে বলে অভিযোগ। আর আর্থার সি সেই ঘটনার ভিডিও তুলছিল।

দক্ষিণপূর্ব ফ্রান্সের একটি শহরে মাক্রোঁ সাধারণ মানুষের অভিবাদন গ্রহণ করছিলেন। তখনই এই ঘটনা ঘটে। আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মাক্রোঁ এখন মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করছেন।

সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, ট্যারেল ইউ টিউবে চরম দক্ষিণপন্থিদের চ্যানেলগুলিও সাবসক্রাইব করেছে। বুধবার তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছিল।  তার বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিকে অপমান করার অভিযোগ আনতে চলেছে পুলিশ। এই অপরাধের জন্য তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং ৪৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

যে অভিযুক্ত পুরো ঘটনাটা ভিডিওতে ধরে রাখছিল, তার বাড়িতে হিটলারের আত্মজীবনী ছাড়াও বেশ কিছু অস্ত্র পাওয়া গেছে। তার মধ্যে আছে তলোয়ার, ছুরি, রাইফেল। রাইফেলের অবশ্য লাইসেন্স আছে।

বলা হচ্ছে, মাক্রোঁকে ওইভাবে জনগণের মাঝখানে যেতে নিষেধ করেছিলেন তার নিরাপত্তা-প্রধান। কিন্তু মাক্রোঁর মুখপাত্র জানিয়েছেন, এরকম কিছুই হয়নি।

মাক্রোঁকে চড়, ভিডিও ভাইরাল

তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ভবিষ্যতেও মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবেন।

অভিযুক্তদের বিষয়ে কী জানা গেছে?

প্রথম অভিযুক্ত, যে প্রেসিডেন্টকে চড় মেরেছিল, তার চরম দক্ষিণপন্থিদের বিষয়ে উৎসাহ আছে। রাজতন্ত্র নিয়েও সে উৎসাহী। ফ্রান্সের মধ্যযুগের ইতিহাস সম্পর্কে সে পড়াশুনো করেছে। ইনস্টাগ্রামের পাতায় সে নিজেকে ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ হিস্টরিক ইউরোপীয়ান মার্শাল আর্টের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে। লম্বা তলোয়ার নিয়ে মধ্যযুগীয় পোশাক পরে তার ছবিও আছে।

তবে তার এক বন্ধুর মতে, রাজনীতি নিয়ে তার কোনো উৎসাহ নেই। তার চরিত্রের সঙ্গে চড় মারাটা একেবারেই মানানসই নয়।

চড় মারার আগে অভিযুক্ত ‘ডাউন উইথ মাক্রোঁনিয়া' বলে চিৎকারও করেছিল।

দুই অভিযুক্তের বাড়িই গ্রামে। তাদের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি হয়েছে। দ্বিতীয় অভিযুক্তও মধ্যযুগের ফ্রান্সের ভক্ত।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি)