1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাছের স্বাদ নিয়ে গবেষণা

২ ডিসেম্বর ২০১৯

বাঙালি মাছের ভক্ত৷ সেই চাহিদা পূরণ করতে ভেড়িতে মাছ চাষ করতে হয়৷ কিন্তু কৃত্রিম পরিবেশে মাছ কেমন থাকে? মাছের ভালমন্দের দিকে নজর দিলে কি মাছের স্বাদেরও উন্নতি হয়? সুইজারল্যান্ডে সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3U4Ec
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul

বন্দিদশায় মাছ কেমন থাকে? আসলে মানুষের মতোই খাদ্য মাছের ভালো থাকার চাবিকাঠি৷ যেমন কার্প বা রুই জাতীয় মাছ সর্বভুক৷ তবে তাদের প্রোটিনেরও চাহিদা রয়েছে৷ প্রজনন ক্ষেত্রে তাদের বেশি মাছ খাওয়ানো উচিত নয়৷ তার বদলে প্রোটিনে ভরপুর ডাকউইড আরও ভালো বিকল্প৷

জুরিখ ফলিত বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী লিন্ডা চিরেন মাছের কল্যাণ নিয়ে গবেষণা করছেন৷ কার্প মাছ ডাকউইড খেতে ভালোবাসে কিনা এবং সেটি খেলে ভালো হজম হয় কিনা, তিনি সেই পরীক্ষা করছেন৷ লিন্ডা মনে করেন, ‘‘পানির মানের পাশাপাশি খাদ্যও মাছের ভালো থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরি৷ ঠিকমতো পুষ্টি না পেলে ভালো থাকা সম্ভব নয়৷’’

ডাকউইড কার্প মাছের কোনো ক্ষতি করছে কিনা, এক মরা মাছের মধ্যেই তিনি সেই তথ্য যাচাই করতে পারেন৷ একটি বালতির মধ্যে তিনি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মাছগুলিকে অজ্ঞান করে দিয়েছেন৷ মনে রাখতে হবে, মুরগি, শূকর ও গরু পালন করার সময় কী প্রয়োজন হয়, তা সবার জানা৷ মাছের চাহিদা সম্পর্কে সে তুলনায় জ্ঞান বেশি নেই৷ সে কারণেই মাছের কল্যাণে বড় আকারের এক গবেষণা প্রকল্প চালানো হচ্ছে৷

এই প্রক্রিয়ার সব ধাপ আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে৷ সবার আগে কার্পের রক্ত সংগ্রহ করা হয়৷ রক্তে কর্টিসলের মাত্রা পরখ করলে বোঝা যায়, প্রাণীটি মানসিক চাপে ছিল কিনা৷ তাছাড়া মস্তিষ্ক, অন্ত্র ও যকৃতও আলাদা করা হয়৷ লিন্ডা চিরেন বলেন, ‘‘ডাকউইডের প্রভাব সম্পর্কে জানতেই আমরা যকৃৎ ও অন্ত্র বার করে নেই৷ ডার্কউইড মাছের জন্য ভালো না হয়ে থাকলে আমরা ধরে নেই, যে সেটি অপুষ্টিতে ভুগছে৷ বিশেষ করে অ্যাকোয়াকালচারের ক্ষেত্রে খোরাক মাছের চাহিদা পূরণ না করলে এমন স্ট্রেস দেখা যায়৷ যে মাছ ক্রমাগত ভুল পুষ্টি পেয়ে চলেছে, সেটির মস্তিষ্কের বৈশিষ্ট্য জানা আমাদের জন্য জরুরি৷ ডাকউইড খেয়ে মাছ খুব ভালো থাকলেও মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ করতে হবে৷’’

দ্বিতীয় একটি পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি খাদ্য অনুযায়ী মাছের মাংসের মধ্যে পরিবর্তন বিশ্লেষণ করেছেন৷ কারণ মনে রাখতে হবে, মানুষের খাদ্য হিসেবেই এই মাছ চাষ করা হয়৷

মাছের কল্যাণ নিয়ে গবেষণা যথেষ্ট ব্যয়বহুল৷ শুধু খোরাকই মাছের ভালো থাকার চাবিকাঠি নয়৷ বদ্ধ পানিতে মাছের সংখ্যাও মাছের ভালমন্দ বোধের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে৷ মাছের ভেড়ির দিকে তাকালে আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, খুব কম জায়গায় অত্যন্ত বেশি সংখ্যক প্রাণী ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে সেই ধারণা মোটেই পুরোপুরি সত্য নয়৷ লিন্ডা চিরেন মনে করিয়ে দেন, ‘‘অন্যদিকে অত্যন্ত কম ঘনবসতিও দেখা যায়৷ যেমন তেলাপিয়া মাছ যখন নির্দিষ্ট একটি জায়গায় আবদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেয়৷ প্রত্যেকটি মাছের যদি একই জায়গা পছন্দ হয় এবং তার উপর অধিকার ফলাতে চায়, তখন সেই ভিটে রক্ষা করতে মাছ অত্যন্ত আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে৷ তখন ঝাঁকের মধ্যে প্রবল অশান্তি সৃষ্টি হয়৷ মাছের উপর মানসিক চাপ বেড়ে যায়৷ মাছের জাত অনুযায়ী ঘনবসতির ধারণা নির্ভর করে৷’’

অর্থাৎ সব মাছের আচরণ এক নয়৷ প্রত্যেক জাতের নিজস্ব চাহিদা রয়েছে৷ মাছের কল্যাণের লক্ষ্যে এই প্রকল্প এখনো প্রাথমিক স্তরে রয়েছে৷ আরও অনেক কাজ বাকি৷

মার্টিনা মিট/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান