1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মাদকসেবীদের দমন-পীড়ন বাড়াবে এইডসের বিস্তার’

২১ জুলাই ২০১০

মাদক যারা নেন, তাদের অধিকারের সুরক্ষা চাই৷ ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দি ল্যান্সেটের কথার মানে দাঁড়ায় তাই৷ হঠাৎ এই কথা কেন? কারণ এইডস৷ তাদের মতে, পূর্ব ইউরোপে এইডস সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন মাদকাসক্তদের ছাড় দেওয়ার বিকল্প নেই৷

https://p.dw.com/p/OQQL
drugs, marijuana, AIDS, HIV, মাদক,
সর্বনাশা মাদকছবি: AP

বলা হচ্ছে, পূর্ব ইউরোপ আর মধ্য এশিয়া আছে এইডস ঝুঁকিতে৷ এই মারণব্যাধি যেন ভয়াবহ আকারে বিস্তার লাভ না করে, সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ চাই এখন থেকে৷ ভিয়েনায় বিশ্ব এইডস সম্মেলনের মধ্যেই এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলো দি ল্যান্সেট, তাদের জুলাই মাসের সংখ্যায়৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, ইউক্রেন ও ভিয়েতনামে এইডস মহামারী হয়ে দেখা দিতে পারে৷ আর এই জন্য দায়ী সেই সব মাদকসেবীরা, যারা সিরিঞ্জ দিয়ে মাদক নেয়৷ দি ল্যান্সেটর পর্যবেক্ষণ বলছে, এসব দেশে মাদকাসক্তদের বিভিন্ন ধরনের দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে চলতে হয়৷ তাই সিরিঞ্জ কিনতে না পেরে একটিই ব্যবহার করে অনেকজন৷ যা এইচআইভির বিস্তারে বড় ভূমিকা রাখছে৷

দি ল্যান্সেট বলছে, ওই সব দেশে বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেনে মাদকসেবীদের দেখলেই পেছনে লাগে পুলিশ৷ অনেক মাদকসেবী বলেন, এই জন্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ সময়ে নতুন সিরিঞ্জ কিনতে পারেন না তারা৷ আর চিকিৎসা নিতে গেলে নাম-ঠিকানা লিখে নিবন্ধন করতে হয়৷ আর এর সঙ্গেও পুলিশি ঝামেলা জড়িয়ে থাকে৷ জার্নালটির পরামর্শ, মাদকেসবীদের মধ্যে যারা এইচআইভি ভাইরাস বহন করছে, তাদের অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল দিতে হবে৷ তাহলে সংক্রমণ অনেকটা ঠেকানো যাবে৷ রাশিয়ার একটি গবেষণায় আভাস দেওয়া হয়েছে, অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল না দিলে ২০ বছরে মাদকসেবীদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তের হার ৬৪ গুণ বাড়বে৷

ভিয়েনায় এবারের এইডস সম্মেলনে এইডস রোধে যে তহবিল আসছে, তার সুষ্ঠু ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ সম্মেলনে চলছে এইডসবিরোধী বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা, নানা আঙ্গিকে৷ নেদারল্যান্ডসের এইডস ফাউন্ডেশন পূর্ব ইউরোপে ঘুরে ঘুরে প্রচার চালিয়েছে, সংগ্রহ করেছে ৫ হাজার জনের বার্তা বা মেসেজ৷ সে সব মেসেজ গাছে ঝুলিয়ে এনেছে সম্মেলনস্থলে৷ অস্ট্রেলিয়ার একটি গ্রুপ আবার এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের তালিকা তৈরি করছে৷ বড় একটি কম্বলে তাদের নাম লিখে রাখা হয়েছে সম্মেলনস্থলে৷ চলছে নাটক, গান, সবকিছুরই বিষয় এক- আমরা যদি এখনো সচেতন না হই, তবে এক মহামারী সন্নিকটে৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক