1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাদাগাস্কারের ছোট্ট ডুবুরি পাখি হারিয়ে গেল

২৬ মে ২০১০

চিরকালের মতো, অর্থাৎ বিলুপ্ত হল৷ কারোর নজরে না পড়েই, এক আইইউসিএন অর্থাৎ প্রকৃতি সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক সঙ্ঘ ছাড়া৷ তারাই খবর দিল, আলাওট্রা গ্রীব পাখিটি আর নেই৷

https://p.dw.com/p/NX6l
মরিশাসের ডোডো, তবে শুধুই মিউজিয়ামের জন্য তৈরী করা মডেলছবি: dpa - Bildarchiv

সপ্তদশ শতাব্দীতে মরিশাসের ডোডো পাখি ঠিক এইভাবেই বিলুপ্ত হয়েছিল৷ কিন্তু ডোডো'কে নিয়ে তো অন্তত একটি ইংরেজী প্রবচন আছে৷ ইংরিজিতে বলে, ‘ডেড এ্যাজ এ ডোডো', ডোডোর মতোই মৃত৷ লিটল আফ্রিকান গ্রিব বা আলোওট্রা গ্রিব'কে নিয়ে কোনো প্রবচনও পড়ে থাকবে না৷ পড়ে থাকবে পণ্ডিতী কেতাবে তার পোষাকি, লাতিন নামটা: টাকিবাপ্টুস রুফোলাভাটুস৷ পড়ে থাকবে পৃথিবীতে তার একমাত্র দেশ কিংবা বাসস্থান, পূর্ব মাদাগাস্কারের আলাওট্রা হ্রদ৷ একমাত্র সেখানেই তাকে পাওয়া যেতো৷

বেচারা ডুবুরি পাখি৷ সে কি জানতো যে তার প্রিয় লেকের জলে মানুষই এক ধরণের নতুন মাছ ছাড়বে, যারা মাংসাশী? সাপের মাথা মারেল বলে পরিচিত এই মাছগুলির মুখে ছাড়া নাইলনের মাছ ধরার জালে জড়িয়েও প্রাণ দিয়েছে বহু ডুবুরি পাখি৷ কাজেই পৃথিবীতে আরো এক ধরণের পাখি কমে গেল৷

সব মিলিয়ে ছিলই তো মোটে হাজার দশেক প্রজাতির পাখি৷ তাদের মধ্যে ১৩২টি প্রজাতি এখন পুরোপুরি বিলুপ্ত৷ চারটি প্রজাতিকে আর মুক্ত প্রকৃতিতে পাওয়া যাবে না, তারা বেঁচে থাকবে চিড়িয়াখানায় - নামটাই যেখান থেকে এসেছে৷ ১৯০টি প্রজাতির পাখিরা বিশেষভাবে বিপন্ন৷ ৩৭২টি প্রজাতি বিপন্ন৷ ৮৩৮টি প্রজাতি ঝুঁকির মুখে রয়েছে৷ এ' সব পরিসংখ্যানই আইইউসিএন'এর৷ তারাই বিপদসঙ্কেত দেয়, তথাকথিত রেড লিস্ট তৈরি করে৷

এবারও আইইউসিএন বিশেষ করে জলাভূমির পাখিদের কথা বলেছে৷ জলাভূমির জল নিষ্কাশন করে এবং সেখানে বিদেশী মাছ ও জীবজন্তু ঢুকিয়ে জলাভূমির পাখিদের আদি ও অকৃত্রিম ‘হ্যাবিট্যাট' বিপন্ন করা হচ্ছে৷ কিন্তু কোনো পাগলা ঘণ্টিই আর ছোট্ট আলাওট্রা গ্রিব ডুবুরি পাখিকে মাটির পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে পারবে না৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার