1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন থেকে জার্মান শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

১২ আগস্ট ২০১৮

চীন ভিসার মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানানোয় জার্মানিতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন ডাভিড মিসাল৷ তিনি মনে করেন, মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য মানবাধিকার নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করায় তাঁকে সেদেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/331vP
ছবি: picture-alliance/dpa/privat - David Missal

সাংবাদিকতা বিষয়ক জার্মান শিক্ষার্থী ডাভিডের ভিসা বাড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ৷ তিনি বেইজিংয়ের সুপরিচিত সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী ছিলেন৷ পড়াশোনার অংশ হিসেবেই সম্প্রতি তিনি সেদেশের মানবাধিকার আইনজীবীদের উপর নিপীড়নের বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন৷ আর তাতেই চীনা কর্তৃপক্ষ তাঁর উপরে চটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

মিসাল জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএকে জানিয়েছেন যে রবিবার চীন ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে তাঁকে, কেননা তাঁর সেদেশে অবস্থানের ‘রিসিডেন্ট পার্মেট'-এর মেয়াদ কমিয়ে ফেলা হয়েছে এবং তাঁর ‘স্টুডেন্ট ভিসা'-র মেয়াদও বাড়ানো হয়নি৷ 

ডাভিড মিসালের অধ্যাপক তাঁকে মানবাধিকার বিষয়ক তথ্যচিত্রটি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন, সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল বলে লিখেছে হংকং ফ্রি প্রেস (এইচকেএফপি)৷ তথ্যচিত্রে তিনি চীনা কর্তৃপক্ষ কিভাবে মানবাধিকার আইনজীবীদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে তা বিশদভাবে তুলে ধরেছেন৷

জার্মান শিক্ষার্থীকে রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ না করতে দু'বার সতর্ক করা হয়েছিল বলেও জানা গেছে৷ তবে তিনি সেই সতর্ক বার্তা এড়িয়ে গেছেন, কেননা চীনের সমাজ এবং রাজনীতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ছিলেন তিনি৷

এইচকেএফপি-র প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, উত্তর-পশ্চিমের জার্মানির ওসনাব্র্যুকের বাসিন্দা মিসালকে চলতি বছরের শুরুতে চীনের ভুহান শহরে মানবাধিকার আইনজীবী লিন কিলেই-এর সঙ্গে আটক করা হয়েছিল৷ সেসময় তাঁরা সেখানে এক কারাবন্দি অ্যাক্টিভিস্টকে দেখতে গিয়েছিলেন৷ গতমাসে লিনকে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধ্বংসের' ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে চীন৷

তথ্যচিত্রের জন্য বেশ কয়েকজন মানবাধিকার আইনজীবী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডাভিড মিসাল। ২০১৫ সালে ৩০০-র মতো আইনজীবী, অ্যাক্টিভিস্ট এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল৷ তাঁদের অনেকেই ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মতো অভিযোগে দীর্ঘমেয়াদে কারাবাসের শাস্তি দেয়া হয়েছে৷ কেউ কেউ এখনো তাঁদের বিরুদ্ধে চলা মামলার রায়ের অপেক্ষা রয়েছেন৷

‘জার্মান অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম বা ডিএএডি-র আওতায় সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করছিলেন মিসাল। আর একবছর সময় পেলে তিনি সেখানে তাঁর উচ্চশিক্ষা শেষ করতে পারতেন৷

এআই/ডিজি (এপি, ডিপিএ)