1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষটা দেখতে কেমন ছিল

১০ মে ২০১৬

একদিকে মড়ার মাথার খুলির ওপর প্লাস্টিসিন বসিয়ে মানুষের মুখ তৈরির চেষ্টা; অন্যদিকে ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বলে দেওয়া, মানুষটির চোখ বা চুলের রং কী হতে পারে৷ শিল্প বনাম হাইটেক৷ দু'টোই কিন্তু লাগে পুলিশের কাজে৷

https://p.dw.com/p/1IkU4
Symbolbild Schattenriss Phantombild
ছবি: picture-alliance/dpa/Arno Burgi

অপরাধের তদন্তে যখন আর এগোনো যাচ্ছে না, শুধু যে খুন হয়েছে, তার হাড়গোড় কিংবা মাথার খুলিটা শুধু পাওয়া গেছে, তখন ডাক পড়ে মারিওন সাবোর৷ মারিওন মৃতের মুখাবয়ব তৈরি করেন৷ মডেল তৈরি করার জন্য তাঁর মাথার খুলিটার বেশি আর কিছুর দরকার পড়ে না৷

ফরেনসিক মেডিসিনে বহু বছর ধরে যে পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে, তারই ভিত্তিতে মৃতের মুখ কল্পনা করা হয়৷ মানুষের মুখ তৈরি হয় হাজার হাজার খুঁটিনাটি দিয়ে৷ সেই মুখ কি মাপজোক করে তৈরি করা যায়? জেনেটিসিস্ট মানফ্রেড কাইজারের স্বপ্ন হলো, তিনি ডিএনএ থেকে ফটোফিট তৈরি করবেন৷ মানফ্রেড বলেন, ‘‘ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা এ পর্যন্ত শুধু সেই সব ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারতাম, যাদের পরিচিতি আমাদের কাছে জ্ঞাত৷ অপরাধের অকুস্থলে যে ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে, তা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির ডিএনএ-র সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়৷''

কিন্তু যদি মিলিয়ে দেখবার মতো কোনো ডিএনএ না থাকে? কাইজার ও তাঁর সতীর্থরা ডিএনএ থেকে একটি মানুষের চেহারা কেমন হতে পারে, তা বার করতে চান৷ ফেরারি আসামীদের ছবি তৈরি করার এক সম্পূর্ণ নতুন পন্থা৷ মানফ্রেডের বক্তব্য হলো, ‘‘আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের বিকল্প বার করতে চাই; অকুস্থলে খুঁজে পাওয়া ডিএনএ থেকে অপরাধীকে কেমন দেখতে হতে পারে, তা বার করতে চাই৷''

শুধুমাত্র একটি আঙুলের ছাপ থেকে বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় ডিএনএ পাওয়া যায়৷ আজই গবেষকরা ডিএনএ থেকে চোখ ও চুলের রং বলে দিতে পারেন৷ একটি মানুষের ডিএনএ থেকে আরেকজন মানুষের ডিএনএ-র প্রায় ৩০ লাখ পার্থক্য থাকতে পারে৷ এর মধ্যে কাইজার ২৪টি কোড খুঁজে পেয়েছেন, যা মানুষের চোখ ও গায়ের রং নির্ধারণ করে৷ কাজেই আঙুলের ছাপ থেকে পাওয়া ডিএনএ বিশ্লেষণ করে দেখা গেল, ‘‘চোখের রঙের ক্ষেত্রে ফলাফল পরিষ্কার: চোখ নীল হবার সম্ভাবনা ৯৬ শতাংশের বেশি৷ চুলের রঙের ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ সম্ভাবনা এই যে, ডিএনএ-র অধিকারীর মাথার চুল ব্লন্ড বা সোনালি৷ এছাড়া সে নীলচোখো, এটুকু জানা গেছে৷''

বাস্তবেই তাই! তবে মানফ্রেড কাইজার শুধু চোখ আর চুলের রঙ নির্ধারণ করেই সন্তুষ্ট নন৷ তিনি জানালেন, ‘‘আমরা দেখছি, শরীরের দৈর্ঘ্য অথবা বয়সও বলা যায় কিনা৷ আমরা বুঝতে চাই, আমাদের জিন কিভাবে আমাদের মুখাবয়ব তৈরি করে, যাতে আমরা একদিন ডিএনএ থেকেই মানুষের চেহারাটা কেমন, তা জানতে পারি৷''

তবে ডিএনএ থেকে সম্পূর্ণ ফটোফিট পাবার জন্য এখনও অনেক গবেষণার প্রয়োজন, ব্যাপারটা এতই জটিল৷ বিজ্ঞান সেই অবধি পৌঁছানোর আগে জার্মান পুলিশকে মারিওন সাবো-র মতো ‘শিল্পী'-দের ওপর নির্ভর করতে হবে, যারা জীবদেহের গঠন সম্পর্কে জানেন, আবার মূর্তিও গড়তে পারেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য