1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষের সাথে স্লথের লড়াই

Sanjiv Burman৫ মে ২০১৮

মানুষ ও স্লথের প্রায় ১১ হাজার বছর আগের পায়ের ছাপ দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা এর মাধ্যমে ওই প্রাণীর সাথে মানুষের লড়াইয়ের একটা ধারণা পেয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2x9X5
Tiere - Riesenfaultier - Fossile Spuren
ছবি: Reuters/Bournemouth University/A. McCelland

স্লথদের বাঁচানোর উদ্যোগ

স্লথ হচ্ছে বানরের মতো দেখতে অলস প্রকৃতির শান্তিপ্রিয় একটি প্রাণী৷ সাধারণত দক্ষিণ ও মধ্য অ্যামেরিকায় তাদের দেখতে পাওয়া যায়৷

মানুষের পূর্বপুরুষের সাথে সাড়ে ছয়ফুট লম্বা বড় নখওয়ালা স্লথের লড়াই হয়েছিল বলে প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷

বিজ্ঞানীদের মতে, অতিকায় স্লথের পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল ছয় কোটি বছর আগে৷

দক্ষিণ-পশ্চিম অ্যামেরিকার নিউ মেক্সিকো রাজ্যে পাওয়া মানুষ ও স্লথের ফসিল হয়ে যাওয়া পায়ের ছাপ দেখে বিজ্ঞানীরা কীভাবে মানুষ এ প্রাণীটির সাথে লড়াই করে শিকার করতো, সেই সংক্রান্ত একটি ধারণা পেয়েছেন৷

অ্যামেরিকা ও ব্রিটেনের বিজ্ঞানীদের একটি দল তাদের গবেষণাপত্রটি ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস' জার্নালে প্রকাশ করেছেন৷

গবেষকরা স্লথ এবং মানুষের পায়ের ছাপ পেয়েছেন নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল মনুমেন্ট অঞ্চলে৷ সেই ছাপ বিশ্লেষণ করেই তাঁরা গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন৷

বিজ্ঞানীদের ভাষায় ‘অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য' ওই পায়ের ছাপ বলছে, স্লথ শিকারের আগে মানুষ স্লথের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে সোজা তার পিছু নিত৷ আর তারপর বর্শার মতো ধারালো কোনো অস্ত্র স্লথের অপেক্ষাকৃত দুর্বল জায়গা যেমন ঘাড় কিংবা হৃদপিণ্ডে ছুঁড়ে দিত৷

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের আক্রমণের পর স্লথের পালিয়ে যাওয়ার পায়ের ছাপও পেয়েছেন তাঁরা৷ 

গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, পায়ের ছাপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, মানুষ প্রাণীটিকে নানাভাবে আক্রমণ, হত্যা বা শিকার করত

গবেষকরা ১০০টি স্লথ ও মানুষের পায়ের ছাপ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পেয়েছেন৷ তিনি জানান, পায়ের ছাপ অনুযায়ী মানুষের দু'টি দলের ছাপ পাওয়া গেছে৷ একটি দল স্লথকে অনুসরণ করছিল, আরেকটি দল সামনে থেকে তাকে প্ররোচিত করে ভুল পথে চালিত করছিল৷

এক জায়গায় স্লথের চার পায়ের সামনের দু’টির ছাপ পাওয়া যায়নি৷ গবেষকরা বলছেন, সে সময়ে মানুষের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পেছনের দুপায়ে দাঁড়িয়ে সামনের দুই পাকে হাত হিসেবে ব্যবহার করেছিল স্লথটি৷

গবেষকরা আরও জানান, যখন কোনও মানুষের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়নি, তখন দেখা গেছে স্লথের পায়ের ছাপ সোজা বরাবর এগিয়েছে৷ কিন্তু মানুষের পায়ের ছাপ স্লথের সাথে যেখানে পাওয়া গেছে সেখান থেকেই স্লথের পদক্ষেপে অস্থিরতা এসেছে৷

তাঁরা বলছেন, স্লথ ধীরগতির হলেও এদের গায়ে প্রচণ্ড শক্তি ছিল৷

নিউ মেক্সিকোতে ওই পায়ের ছাপের ফসিল ১০ বছর আগে পাওয়া গিয়েছিল – যা থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা হয়েছিল৷

গবেষকরা মনে করছেন, এ গবেষণা অন্যান্য বিলুপ্ত প্রাণীর সাথে মানুষের সম্পর্ক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে৷

এইচআই/জেডএইচ (রয়টার্স, ইএফই)

প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো জানান নীচের ঘরে৷