মারের ইতিহাসে ঠাঁই, তাঁর জয়ে লেন্ডলও জয়ী
৮ জুলাই ২০১৩গত বছর পর্যন্ত মারে ছিলেন ‘ভালো খেলে গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠে হেরে যান' এমন এক খেলোয়াড়৷ চারবার ফাইনালে উঠে চারবারই হার! এই উইম্বলডনেই ফাইনালে উঠে গত বছর আশা জাগিয়েছিলেন ব্রিটিশদের মনে৷ ফ্রেড পেরির পর প্রথম ব্রিটিশ হিসেবে উইম্বলডন ফাইনালে ওঠায় সবাই ভেবেছিলেন গ্যালারির তুমুল সমর্থন নিয়ে মারে বুঝি নিজের এবং ব্রিটেনের গ্র্যান্ডস্ল্যামখরা কাটাবেন৷ পারলেন না৷ হেরে গেলেন রজার ফেডারার-এর কাছে৷ সেদিন শিশুর মতো কেঁদেছিলেন অ্যান্ডি মারে৷ ঠিক এক বছর পর নোভাক জোকোভিচকে ৬-৪, ৭-৫, ৭-৪ গেমে হারিয়ে উইম্বলডনের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়ে হাসলেন অ্যান্ডি মারে৷ অনেক সমর্থকের সঙ্গে হাসি ফোটালেন ইভান লেন্ডল-এর মুখেও৷
মারের নতুন কোচ ইভান লেন্ডল৷ টেনিসে খুব পরিচিত নাম৷ নিজেও ছিলেন বড় মাপের খেলোয়াড়৷ চেকোস্লোভাকিয়ার হয়ে টেনিস দুনিয়া কাঁপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়া লেন্ডল গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক জিতেছেন ৯টি৷ কিন্তু উইম্বলডন জিততে পারেননি একবারও৷ ২০১২-র ফাইনালে ফেডারার-এর কাছে হেরে যাওয়ার পরও কোচ হিসেবে অ্যান্ডি মারেকে দারুণ উৎসাহ জুগিয়েছেন ৫৩ বছর বয়সী লেন্ডল৷ খুব কাজে লেগেছিল ব্যর্থতার পরও কোচের সেই উৎসাহ৷ ক'দিন পর ফাইনালে ফেডারারকে হারিয়েই মারে জিতেছিলেন অলিম্পিক সোনা৷ তারপর থেকে ২৬ বছর বয়সি এই স্কটিশ যেন একেবারে নতুন মানুষ৷ গত বছর ইউ এস ওপেন জিতে কাটিয়েছিলেন গ্র্যান্ড স্লাম খরা৷ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় উঠে এসেছিলেন ব়্যাংকিং-এর দু নম্বরে৷ এবার উইম্বলডনেও দ্বিতীয় সেরা হিসেবে খেলতে নেমে হারিয়ে দিলেন বিশ্বসেরা নোভাক জোকোভিচকে৷
অ্যান্ডি মারে ভীষণ খুশি৷ খুশির কারণ অনেক৷ দুটি খুবই উল্লেখযোগ্য৷ প্রথমটি, অর্থাৎ ৭৭ বছরের খরা কাটানোর বিষয়টি বলা হয়েছে আগেই৷ দ্বিতীয় কারণটি হলো, কোচ লেন্ডলকে একটি বিশেষ উপহার দিতে পারা৷ জীবনে দু দুবার ফাইনালে উঠলেও একবারও উইম্বলডন জিততে পারেননি লেন্ডল৷ দ্বিতীয় সুযোগে মারে কিন্তু জিততে পেরেছেন! জোকোভিচ-এর বিপক্ষে জয়টা নিজের জয় তো বটেই, সঙ্গে প্রিয় কোচেরও! মারের জয়ে নিজের উইম্বলডন অতৃপ্তি একটু হলেও ভুলতে পেরেছেন লেন্ডল৷
এসিবি/এসবি (এএফপি,এপি, ডিপিএ)