1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন কংগ্রেস সদস্যা গুলিবিদ্ধ

৯ জানুয়ারি ২০১১

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যারিজোনা রাজ্যের কংগ্রেস সদস্যা গাব্রিয়েল গিফোর্ডস-এর অনুষ্ঠানে শনিবার গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ এতে গিফোর্ডস গুরুতর আহত হয়েছেন৷ তবে এক ফেডারাল বিচারক সহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/zvJW
গাব্রিয়েল গিফোর্ডসছবি: AP

কোথায়, কীভাবে?

গিফোর্ডস একটি জনসমাবেশে ছিলেন৷ সেসময় এক শ্বেতাঙ্গ তরুণ অনুষ্ঠানে গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে৷ স্থানীয় পুলিশের এক মুখপাত্র নিহতের সংখ্যা ৬ বলে নিশ্চিত করেছেন৷ এর মধ্যে নয় বছরের একটি মেয়েও রয়েছে৷ এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১২ জন৷ জানা গেছে, একেবারে কাছ থেকে গিফোর্ডসকে গুলি করা হয়েছে৷ এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা তাঁর অপারেশন করেন৷ গিফোর্ডসের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন এক ডাক্তার৷ তবে তারপরও তিনি আশঙ্কামুক্ত নন, বলে জানান ঐ ডাক্তার৷ এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, যে তরুণ গুলি চালিয়েছে তার আনুমানিক বয়স ২০ হতে পারে৷ তবে সিএনএন বলছে, জারেড লি লাফনার নামের ঐ ছেলেটির বয়স ২২৷ ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় ঐ তরুণকে আটক করা হয়েছে৷ পুলি‍শের ধারণা, ঘটনার সঙ্গে শুধুমাত্র ঐ তরুণই জড়িত নয়, আরও কেউ থাকতে পারে৷

কে এই গিফোর্ডস? কেন হামলা?

গিফোর্ডস হলেন প্রথম ইহুদি নারী যিনি অ্যারিজোনা থেকে মার্কিন কংগ্রেসে সদস্যা নির্বাচিত হয়েছেন৷ সেটা ২০০৬ সালে৷ এরপর থেকে এখন পর্যন্ত টানা তৃতীয়বারের মতো তিনি কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়েছেন৷ মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন ডিমোক্র্যাট পার্টির এই কংগ্রেস সদস্যা৷ এছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার আগে তাদের অপরাধ বিষয়ক অতীত ইতিহাস দেখে নেওয়া ও ইংরেজি শেখার বিষয়ে তিনি সবসময় সোচ্চার৷ বিল ক্লিন্টনের সময়কার এক মন্ত্রী গিফোর্ডস সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে একসময় বলেছিলেন যে, তিনি এতটাই যোগ্য, যে হয়তো এক সময় তিনি দ্বিতীয় নারী হিসেবে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন৷ গিফোর্ডসের স্বামী মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী৷ তবে কী কারণে গিফোর্ডসের উপর এই হামলা, সে ব্যাপারে তেমন কিছু জানা যায়নি৷

প্রতিক্রিয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই ঘটনাকে এমন এক ‘ট্রাজেডি' বলে আখ্যায়িত করেছেন যেটার কথা বলা যায় না৷ তিনি বলেন, মুক্ত সমাজে এধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার কোনো স্থান নেই৷ আর অ্যারিজোনা রাজ্যের সিনেটর ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জন ম্যাককেইন বলেছেন, যে- ই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক বা যে কারণেই হোক, সেটা অ্যারিজোনা তথা পুরো দেশের জন্য লজ্জার একটি বিষয়৷ এদিকে ডিমোক্র্যাটিক পার্টির সিনিয়র সদস্য ন্যান্সি পেলোসি একে ‘জাতীয় ট্রাজেডি' বলেছেন৷ এবং অ্যামেরিকার জন্য আজ খুব দু:খের দিন বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়