1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন নির্বাচন প্রক্রিয়া

১ নভেম্বর ২০১৬

ভোটাররা নন, বস্তুত মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করে তথাকথিত ইলেক্টোরাল কলেজ, তা-ও আবার ভোট সম্পন্ন হবার এক মাস পরে৷ পদ্ধতিটি অনেক মার্কিনির পক্ষেও উপলব্ধি করা শক্ত৷

https://p.dw.com/p/2RxGE
US TV Debatte Trump vs Clinton
ছবি: Getty Images/C. Somodevilla

২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকরা ভোট দেবেন বটে, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জনগণের এই সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন না৷ ইলেক্টোরাল কলেজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ৫৩৮ জন ইলেক্টর শেষমেষ নির্ধারণ করবেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন৷

হিসেবটা সহজ নয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলির সংখ্যা ৫০৷ ইলেক্টোরাল কলেজে প্রতিটি রাজ্যের নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধি থাকবে; কংগ্রেসের উভয় কক্ষ মিলিয়ে রাজ্যটির যত প্রতিনিধি, সেটাই হলো তার ইলেক্টরদের সংখ্যা৷ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ একটি রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা নির্ভর করে রাজ্যটির জনসংখ্যার উপর; অপরদিকে সেনেটে প্রতি রাজ্যের দু’টি করে আসন থাকে৷ যেমন নিউ ইয়র্ক রাজ্যের রিপ্রেজেন্টেটিভদের সংখ্যা ২৭, সেই সঙ্গে দু’জন সেনেটর৷ কাজেই ইলেক্টোরাল কলেজে নিউ ইয়র্কের থাকবে ২৯ জন ইলেক্টর৷

Infografik Electoral College USA Wahl Englisch

সব মিলিয়ে ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেন্টেটেটিভ ও সেই সঙ্গে ১০০ জন সেনেটর, এ ছাড়া ডিস্ট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ার তিনজন ইলেক্টর: সাকুল্যে ৫৩৮৷ ঊনবিংশ শতাব্দীর আশির দশক থেকেই এক মেইন আর নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি রাজ্যগুলিতে ‘উইনার টেকস অল’ ভিত্তিতে কোনো একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে রাজ্যের সব ইলেক্টরের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসা হচ্ছে৷ অর্থাৎ ভোটে যে প্রার্থী সেই রাজ্যে এগিয়ে থাকবেন, তিনিই সেই রাজ্যের সব ক’জন ইলেক্টরের সমর্থন পাবেন৷ মেইন আর নেব্রাস্কায় কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের ভিত্তিতে দু’জন, ও রাজ্য জুড়ে নির্বাচনে আরো দু’জন ইলেক্টর নির্বাচন করা হয়ে থাকে৷

পরোক্ষ গণতন্ত্র

মার্কিনিরা তাদের ভোটের মাধ্যমে শুধু নির্ধারণ করছেন, তাদের রাজ্যের বরাদ্দ ইলেক্টররা ইলেক্টোরাল কলেজে কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন৷ ডিসেম্বরের শেষে ইলেক্টররা তাদের নিজের নিজের রাজ্যের রাজধানীতে মিলিত হয়ে ভোট দেবেন; জানুয়ারিতে সেই সব ভোটের ফলাফল কংগ্রেসে পৌঁছাবে৷ যে প্রার্থী ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট জিতবেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন৷ নভেম্বরে জনতার ভোট আর ডিসেম্বরে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট যে সবসময় এক হবে, এমন কথা নেই৷ সেক্ষেত্রে ইলেক্টোরাল ভোটই প্রাধান্য পাবে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনবার এই ঘটনা ঘটেছে৷ শেষবার ছিল ২০০০ সালে, যখন অ্যাল গোর জর্জ ডাব্লিউ বুশের চাইতে বেশি ভেটে পেলেও, বুশ ২৭১টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে জয়ী হন৷

‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ বা ‘সুইং’ স্টেট

ক্যালিফর্নিয়ায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, বলে ধরে নেওয়া যায়; যেমন টেক্সাসে রিপাবলিকান প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, বলে ধরে নেওয়া যায়৷ কাজেই ঐ দু’টি রাজ্যের সব ইলেক্টোরাল ভোট কোনো না কোনো প্রার্থীর দিকে যাবে৷ তথাকথিত ‘রণক্ষেত্র’ বা ‘দোলনা’ রাজ্যগুলিতে কিন্তু উভয় প্রার্থীই বেশি ভোট পেতে পারেন, যার ফলে সেই রাজ্যের সব ইলেক্টোরাল ভোট তাঁর দিকে যাবে৷ শোনা যাচ্ছে, এবারের সাতটি সুইং স্টেট হল কলোরাডো, ফ্লরিডা, নেভাডা, ওহাইও, ভার্জিনিয়া, আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ার৷

স্পেন্সার কিমবল/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান