1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মামলা করল মাইক্রোসফট

১৫ এপ্রিল ২০১৬

মার্কিন বিচার বিভাগ আদালতের নির্দেশের মাধ্যমে টেক কোম্পানিদের তাদের গ্রাহকদের তথ্য হস্তান্তর করতে বাধ্য করে, অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের না জানিয়ে৷ এই বিষয়টির বিরুদ্ধে মামলা করল মাইক্রোসফট৷

https://p.dw.com/p/1IWL3
মাইক্রোসফট
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Steffen

দুনিয়ার মানুষ যখন অনলাইন, তখন সরকারি কর্তৃপক্ষ যে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে মজুত করা বার্তা, ছবি, আর্থিক হিসাবনিকাশ ইত্যাদি দেখতে আগ্রহী হবেন, সেটা স্বাভাবিক৷ কিন্তু মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু গোত্রীয় কোম্পানি, যাদের কাছে সেই তথ্য জমা আছে, তারা তাদের গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য অতো সহজে হাতছাড়া করতে রাজি হবে কেন? বিশেষ করে তার ফলে যদি গ্রাহকদের আস্থা কমে যায়?

ওদিকে শুধু নাইন-ইলেভেন নয়, প্রাক্তন এনএসএ কর্মী এডোয়ার্ড স্নোডেন গোপন তথ্য ফাঁস করার পর সরকারের ব্যক্তিগত তথ্যের দিকে হাত বাড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে বৈ কমেনি৷ ওয়াশিংটন-ভিত্তিক একটি সংস্থা জানাচ্ছে যে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ গত দেড় বছরে কোম্পানিগুলির কাছে ৫,৬০০ বারের বেশি গ্রাহকদের তথ্য দাবি করেছে৷ অর্ধেক ক্ষেত্রেই আদালতের নির্দেশে বলা ছিল যে, এই তথ্য হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের কাছ থেকে গোপন রাখতে হবে - এমনকি ১,৭৫০টি ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য গোপন রাখতে হবে৷ এই পটভূমিতে মাইক্রোসফটের মামলা করাটা বোধগম্য হয়ে ওঠে৷

এর আগে এই ধরনের একটি হাই প্রোফাইল, অর্থাৎ ব্যাপক প্রচারণা পাওয়া মামলা চলেছে অ্যাপল ও এফবিআই গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে৷ এফবিআই অ্যাপল-এর সাহায্য চেয়েছিল এনক্রিপ্ট করা একটি আইফোন আনলক করার, অর্থাৎ খুলে দেওয়ার জন্য; অ্যাপল সে সাহায্য দিতে অস্বীকার করে৷ পরে এফবিআই জানায়, তারা নিজেরাই মোবাইল ফোনটির তথ্য উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে৷

মাইক্রোসফট এবার মামলা করেছে ঐ ‘‘নন-ডিজ্ক্লোজার'', মানে তথ্য হস্তান্তরের ব্যাপারটা সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে না জানানোর নির্দেশটিকে নিয়ে৷ সেটা যেমন বাকস্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারের বিরোধী, তেমনই অবান্তর খোঁজখবরের বিরুদ্ধে গ্রাহক সুরক্ষার বিরোধী - এই হল মাইক্রোসফটের যুক্তি৷

মাইক্রোসফটের সঙ্গে মার্কিন সরকারের আরেকটি মামলা চলছে নিউ ইয়র্কে, যার উপজীব্য হল: আয়ারল্যান্ডে মাইক্রোসফটের একটি ডাটা সেন্টারে মার্কিন নাগরিক নন, এমন এক গ্রাহকের বিভিন্ন ইমেল রাখা রয়েছে৷ সরকার সেগুলি দেখতে চায়৷ এ সবই ১৯৮৬ সালের ‘ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনস প্রাইভেসি অ্যাক্ট'-এর বলে, যে আইনের বিভিন্ন সূত্রের সংস্কার দাবি করে আসছে টেক ইন্ডাস্ট্রি ও যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল লিবার্টি গোষ্ঠীগুলি৷

কাজেই অ্যামেরিকান ‘সিভিল লিবার্টিজ আসোসিয়েশন' বা এসিএলইউ-এর ডেপুটি লিগাল ডাইরেক্টর জামিল জাফর টুইট করেছেন, ‘‘সিভিল লিবার্টিজ গোষ্ঠীগুলি টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ করছে; আর টেক কোম্পানিগুলি সিভিল লিবার্টি সংক্রান্ত মামলা দায়ের করছে৷ এ এক নতুন জগত৷''

এসি/জেডএইচ (এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য