1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন ব্যাংকের গোপন তথ্যও ফাঁস করবে উইকিলিক্স

৩০ নভেম্বর ২০১০

একের পর এক ‘সাইবার বোমা’ ফাটিয়ে চলেছে উইকিলিক্স৷ আফগানিস্তান, ইরাক যুদ্ধের গোপন দলিলের পর মার্কিন কূটনীতির নথি৷ এবার তালিকায় যোগ হচ্ছে মার্কিন ব্যাংকের গোপন তথ্যও৷ এদিকে হিলারি ক্লিন্টন বেজায় চটেছেন উইকিলিক্সের উপর৷

https://p.dw.com/p/QLS5
উইকিলিক্স নিয়ে আলোচনা সর্বত্রছবি: picture-alliance/dpa

উইকিলিক্স পরবর্তী লক্ষ্য

উইকিলিক্সের পরবর্তী লক্ষ্য একটি মার্কিন ব্যাংক৷ ফোর্বস ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন, উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জ৷ তিনি বলেন, পরবর্তী ফাঁস থেকে ব্যাংক দুর্নীতির প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে৷ ঠিক কোন ব্যাংকের গোপন তথ্য এবার ফাঁস করা হচ্ছে তা জানাননি জুলিয়ান৷ তবে, তিনি বলেছেন আগামী বছরের শুরুতেই উইকিলিক্সের শোভা বাড়াবে ব্যাংকের গোপন নথি৷

চটেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হিলারি ক্লিন্টন উইকিলিক্সের এই কাণ্ডকে আন্তর্জাতিক মহলের ওপর আক্রমণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই গোপন কূটনীতি ফাঁসের পর মার্কিন মিত্রদের মুখ এখন বেশ গোমড়া৷ তাই পরিস্থিতি শান্ত করতে দেরিতে হলেও বিবৃতি প্রকাশ করেন হিলারি৷ তিনি বলেন, এই গোপন নথি ফাঁস শুধুমাত্র মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ওপরই হামলা নয়, এটি আন্তর্জাতিক মহলের ওপর আক্রমণ৷

Wikileaks - Internetseite Cablegate NO FLASH
ছবি: dpa

এদিকে গোপন কূটনীতিক বার্তা যারা ফাঁস করেছে, তাদেরকে ধরতে সাড়াশি অভিযানে নেমেছে মার্কিন প্রশাসন৷ ভবিষ্যতে আর যাতে এমন চুরি না হয় সেদিকটাতেও গুরুত্ব দিচ্ছেন হিলারি৷

সন্দেহের তালিকায় ম্যানিং

সন্দেহের তালিকায় সবার উপরে আছেন ব্রিডলি ম্যানিং৷ ২৩ বছর বয়সি এই তরুণ মার্কিন সেনাকে তথ্য ফাঁসের অভিযোগে আটক করা হয় গত মে মাসে৷ আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর ওপর কূটনৈতিক বার্তা ফাঁসের দায় চাপানো হয়নি এখনো, তবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে আছেন ম্যানিং৷

ক্যান্সানর আক্রান্ত খামেনি!

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই মারাত্মক ক্যান্সারে আক্রান্ত৷ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মারা যেতে পারেন তিনি৷ এরকম এক মার্কিন গোপন বার্তা পাওয়া গেছে উইকিলিক্সে৷ ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে ইস্তানবুলের মার্কিন কনস্যুলেট থেকে এই বার্তা পাঠানো হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে৷ এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে মার্কিন কূটনীতিকদের বিরূপ মন্তব্য নিয়েও আলোচনা এখনো চলছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য