1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্সিডিজের বিরুদ্ধে সরব চীন

৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

দলাই লামার উবাচ তাদের বিজ্ঞাপনে ব্যবহারের জন্য মার্সিডিজ বেঞ্জের তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে চীন৷ আবারো প্রশ্নের মুখে চীনের গণতন্ত্র৷

https://p.dw.com/p/2sFIs
Symbolbild China Mercedes-Benz
ছবি: picture-alliance/dpa

‘যে কোনো ঘটনারই ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থাকে৷ সব দিকে নজর রাখলে মনের প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়৷' আপাত নিরীহ এই উবাচ তিব্বতের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর৷

কিন্তু রাজনীতিতে নিরীহ বলে কিছু হয় না৷ কূটনীতি তার নিজের নিয়মে চলে৷ আপাত সাধারণ সংলাপ থেকেও রাজনীতি খুঁজে নেয় খুঁত৷ তারপর শুরু হয় আক্রমণ৷ চীনেও ঠিক সেই ঘটনাই ঘটেছে৷ দলাই লামার বাক্যটিকে ব্যবহার করে জার্মান গাড়ি নির্মাণ সংস্থা  মার্সিডিজ বেঞ্জ একটি বিজ্ঞাপনকরেছিল৷ বিজ্ঞাপনের ট্যাগ লাইনে লেখা হয়েছিল, ‘‘সপ্তাহ শুরু হোক জীবন সম্বন্ধে দলাই লামার একটি অনবদ্য উবাচ দিয়ে৷'' মার্সিডিজ ইনস্টাগ্রামে পোস্টটি করেছিল৷ চীনে অবশ্য ইনস্টাগ্রাম চলে না৷ তাদের নিজস্ব সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আছে৷ কিন্তু কিছু কিছু চীনা দ্রুত সেই পোস্ট ইনস্টাগ্রাম থেকে কপি করে নিজেদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেয়৷ মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরালও হয়ে যায়৷ শুরু হয় সমালোচনার ঝড়৷ তিব্বত এবং দলাই লামা নিয়ে বাকি বিশ্ব যা-ই মনে করুক, চীনের কাছে বিষয়টি সংবেদনশীল৷ দলাই লামাকে তারা ‘গুপ্তচর' মনে করে৷ তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য যিনি লড়ছেন৷ চীনের সরকার মনে করে, সন্ন্যাসীর পোশাকে দলাই লামা আসলে একজন ‘নেকড়ে'৷ ফলে তাঁর উবাচ ব্যবহার করে মার্সিডিজের বিজ্ঞাপন চীনারা ভালো চোখে দেখেননি৷

সমস্যা অনুধাবন করে মার্সিডিজ দ্রুত তাদের পোস্ট ডিলিট করে দেয়৷ কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে৷ সমস্যার গভীরতা বুঝে মার্সেডিজ দুঃখপ্রকাশও করে৷ বলা হয়, চীনের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া তাদের লক্ষ্য নয়৷ উল্লেখ্য, চীনে বছরে প্রায় ৬ লক্ষ গাড়ি বিক্রি করে জার্মান সংস্থাটি৷ সেই বাজার হারানোর কোনো ইচ্ছা তাদের নেই৷ কিন্তু মার্সিডিজের দুঃখপ্রকাশ গুরুত্ব পায়নি চীনে৷ চীন সরকারের মুখপত্র ‘‘পিপলস ডেইলি'তে লেখা হয়, ‘মার্সিডিজ নিজেকে চীনা মানুষের শত্রুতে পরিণত করল৷''

এর আগেও অবশ্য চীনে এমন ঘটনা ঘটেছে৷ স্পেনের বিমান সংস্থা ‘ডেলটা', পোশাক নির্মাতা সংস্থা ‘জারা', হোটেল চেন ‘ম্যারিয়ট' বিভিন্ন সময় তিব্বত নিয়ে বিজ্ঞাপন করে চীনের বিরাগভাজন হয়েছে৷ কোনো কোনো সময় চীন ওই সংস্থাগুলিকে বয়কট করেছে৷ সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ওই বিজ্ঞাপনগুলিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ ‘লাইক' করলেও চাকরি যেতে পারে৷

চীনের গণতন্ত্র নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে৷ বস্তুত, তিব্বতে বৌদ্ধদের ওপর অগণতান্ত্রিক অত্যাচার নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন দলাই লামা৷ অন্য দেশ সেই প্রতিবাদকে মর্যাদা দিলেও চীন কখনোই এসব সমালোচনাকে আমল দেয়নি৷ নতুন করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীনের গণতন্ত্র নিয়ে আবার প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে৷

এসজি/রয়টার্স/ডিডব্লিউ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য