1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালদ্বীপে সেনা পাঠাবে ভারত?

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অগ্নিগর্ভ মালদ্বীপ৷ জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়েছে৷ এ অবস্থায় সেখানে কি সেনা পাঠাবে ভারত? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে৷ যদিও ভারত সরকার এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি৷

https://p.dw.com/p/2sJaa
Proteste der Opposition auf den Malediven
ছবি: Reuters

সোমবার গভীর রাতে মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হওয়ার পরপরই বিষয়টিকে ‘অনভিপ্রেত' বলে বর্ণনা করে ভারত৷ ভারতীয় পর্যটকদের মালদ্বীপ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানায় বিদেশমন্ত্রক৷ পাশাপাশি খুব প্রয়োজন না হলে আপাতত মালদ্বীপে যেতেও নিষেধ করা হয় ভারতীয় নাগরিকদের৷

শুধু ভারত নয়, এশিয়ার বহু দেশেই একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে৷ তবু মালদ্বীপ নিয়ে যাবতীয় রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক আলোচনাতে উঠে আসছে ভারতের নাম৷ কেন?

ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগে৷ মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল৷ কিন্তু বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল্লা ইয়ামিন ক্ষমতায় এসেই তাঁকে গ্রেফতার করেন৷ জেলবন্দি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সে সময়েই বলেছিলেন, আগামী দিনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে৷ এবং সে কারণে ভারতকে মালদ্বীপের মাটিতে সৈন্য পাঠানোর আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর দাবি ছিল, ভারত মালদ্বীপে সৈন্য পাঠিয়ে বিরোধীদের সাহায্য করুক এবং বর্তমান সরকারকে পদচ্যূত করুক৷ স্বাভাবিকভাবেই অন্য দেশের মাটিতে তখন সেনা পাঠাতে রাজি হয়নি ভারত৷ কিন্তু পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, প্রয়োজনে মালদ্বীপে সৈন্য পাঠাবে ভারত৷ যদিও ভারত সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য জানানো হয়নি৷ তবে সূত্রের খবর, প্রয়োজনে মালদ্বীপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত সেনা৷

ভারত যাতে মালদ্বীপে সৈন্য না পাঠায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে চীন৷ দেশটির বক্তব্য, এশিয়ার শক্তিভারসাম্য রক্ষা করতেই ভিনদেশে ভারতের সৈন্য পাঠানো উচিত হবে না৷ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চীনের কাছ থেকে এমন বিবৃতিই আশা করা গিয়েছিল৷ কারণ, এশিয়ায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে চায় চীন৷ সেখানে ভারত অন্য দেশে সৈন্য পাঠালে তা তাদের ভাবমূর্তির পক্ষে খুব ইতিবাচক হবে না৷

মাঝরাতে জরুরি অবস্থা

এ দিকে মালদ্বীপের অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত৷ দেশের সেনা এবং পুলিশ বিরোধীদের ধরপাকড় করছে৷ গ্রেফতার হয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতিসহ বেশ কয়েকজন বিচারক৷ গৃহবন্দি এক প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি৷ আরেক সাবেক রাষ্ট্রপতি জেলবন্দি৷ সব মিলিয়ে, পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে৷ কূটনীতিকদের বক্তব্য, আগামী দিনে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে৷ কারণ, কোনোভাবেই ক্ষমতা থেকে সরতে চান না বর্তমান রাষ্ট্রপতি৷ এবং সে কারণেই বিরোধীদের মুখ বন্ধ রাখতে তিনি বদ্ধপরিকর৷ দেশের সুপ্রিম কোর্টও কার্যত রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে৷ ফলে আরো কঠিন ব্যবস্থা নিতে পারেন তিনি৷

সূত্রের খবর, এখনো পর্যন্ত মালদ্বীপে সেনা না পাঠালেও, ভারত প্রয়োজনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত৷ এবং সে ক্ষেত্রে এশিয়ার রাজনীতি নতুন চেহারা পাবে বলেই বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস৷

এসজি/এসিবি (রয়টার্স/ডিডব্লিউ/টাইমস অফ ইন্ডিয়া)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য