1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালি’তে শিশুদের উপর ম্যালেরিয়ার টিকা পরীক্ষা সফল

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

মালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের যৌথ প্রচেষ্টায় সৃষ্ট এই ভ্যাক্সিন শিশুদের শরীরে বিপুল পরিমাণ এ্যান্টিবডি সৃষ্টি করেছে, অর্থাৎ তাদের ইমিউন ব্যবস্থা জোরদার করেছে৷

https://p.dw.com/p/LrhB
‘মানুষের গন্ধ পাঁউ’ছবি: DW-TV

ভ্যাক্সিনটি প্যালসিপারাম ম্যালেরিয়া পরজীবী প্যারাসাইটের একটি বিশেষ স্ট্রেইন বা গোত্রের উপর ভিত্তি করে সৃষ্টি করা হয়েছে৷ এই প্যারাসাইটটি হল আফ্রিকায় সবচেয়ে প্রচলিত এবং সর্বাপেক্ষা মারাত্মক৷ ভ্যাক্সিনটি পশ্চিম আফ্রিকার মালির একটি গ্রামীন প্রদেশে এক থেকে ছয় বছরের ১০০ শিশুর উপর প্রয়োগ করা হয়৷ শিশুদের ক্রমে ক্রমে তিনটি ডোজ দেওয়া হয় এবং ভ্যাক্সিনের মাত্রাও ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়৷ দেখা যায় যে, তাদের শরীরে অন্তত এক বছর ধরে উচ্চ পরিমাণে এ্যান্টিবডি থাকে৷

এ্যান্টিবডি

শিশুদের ঐ ম্যালেরিয়া ভ্যাক্সিন ছাড়া জলাতঙ্কের একটি নিয়ন্ত্রণ টিকাও দেওয়া হয়েছিল৷ দেখা যায় যে, শিশুদের শরীর ম্যালেরিয়ার ভ্যাক্সিনটি খুব ভালোভাবেই নিয়েছে৷ ভ্যাক্সিনের ফলে শিশুদের শরীরে যে পরিমাণ এ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়, তা যে সব প্রাপ্তবয়স্ক সারা জীবন ম্যালেরিয়ার সংস্পর্শে থেকে প্যারাসাইটটির প্রতি ইমিউন হয়ে উঠেছেন, তাদের শরীরের এ্যান্টিবডির সমান কিংবা তারও বেশী৷ মশার কামড়ে সংক্রমিত প্যারাসাইটটি যখন মানুষের রক্তে বংশবৃদ্ধি শুরু করে, ঠিক তখনই মালিতে ব্যবহৃত ভ্যাক্সিনটি সক্রিয় হয়৷ মালির ম্যালেরিয়া গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এখন ৪০০ শিশুর উপর ভ্যাক্সিনটি পরীক্ষা করছেন৷

‘মানুষের গন্ধ পাঁউ'

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি পৃথক গবেষণায় এ্যানোফিলিস গামবিয়ে মশার ৫০টি জিন আবিষ্কার করেছেন, যেগুলি দিয়ে এই মশা ‘মানুষের গন্ধ পায়'৷ এর ফলে মশক বিতাড়নের আরো ভালো পন্থা উদ্ভাবনের আশা দেখা দিয়েছে৷ মার্কিন ‘নেচার' জার্নালে প্রকাশিত আরো দু'টি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, গবেষকরা দৃশ্যত একটি বিশেষ প্রোটিন খুঁজে পেয়েছেন, যার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট মানুষের রক্তে লোহিত কণিকাগুলিতে ঢোকার চেষ্টা করে৷ এই প্রোটিনটিকে আটকে দেবার পন্থা আবিষ্কৃত হলে, তা ম্যালেরিয়ার উন্নততর ওষুধ তৈরীতে সাহায্য করতে পারবে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম