1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিতা হকের পর অদিতি ফাল্গুনী

Sanjiv Burman১২ আগস্ট ২০১৩

একাত্তর টিভির টক শো-তে রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হকের করা মন্তব্য নিয়ে ফেসবুক আর ব্লগে হৈচৈ চলছে৷ আর তাঁর পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এখন আলোচনায় ইউএনডিপি বাংলাদেশের সাবেক নারী অধিকার বিশেষজ্ঞ অদিতি ফাল্গুনী৷

https://p.dw.com/p/19O5L
ছবি: dapd

ফেসবুক ও বিভিন্ন মাধ্যমে পোস্ট করা মিতা হকের বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের না আইডেন্টিটি ক্রাইসিসটা এতো বাজে৷ আজকাল বাংলাদেশে রাস্তায় বেরিয়ে, কোনো ডাক্তারখানায় বা হাসপাতালে গিয়ে, যেখানে একটু লোকজনের সমাগম বেশি, যেখানে ওয়েটিং রুম আছে, লোকজন অপেক্ষা করছে, সেখানে দেখি যে, একমাত্র আমিই বাঙালি৷ আমি শাড়ি পড়ে গেছি আর আমার মাথায় ঘোমটা নেই৷ আজকাল তারা এইটুকু মুখ (মুখের ছোট্ট একটা অংশ দেখিয়ে) বের করে রাখছে৷ এতে তারা আর যাই হোক বাঙালি নয়৷''

মিতা হকের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অনেকে বাজে মন্তব্য করলে অদিতি ফাল্গুনী তাঁর ফেসবুকে ‘দয়া করে মিতা হককে অশালীন আক্রমণ বন্ধ করুন!' শিরোনামে একটি পোস্ট দেন৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজেও একাধিক হাসপাতালে বা ক্লিনিকে কাজে-কর্মে গিয়ে দেখেছি নিরানব্বই ভাগ মহিলা ‘হিজাবি৷' এই হিজাব কি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি? এটা মরুভূমির পোশাক৷

‘‘...আবার শপিং মলগুলোতে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় বোরখা পরা একাধিক মেয়েকে দেখেছি দু'জন পুরুষের মাঝখানে বসে দু'জনের সাথেই অদ্ভুত সব কাণ্ড করতে যা সাধারণ পোশাকের কোনো মেয়ে করবে না৷ আপনি-আমি সবাই জানি ঢাকা শহরের অনেক ভ্রাম্যমাণ পতিতাও নিজেদের পেশা আড়াল করতে বা পুলিশের ঝামেলা এড়াতে বোরখা পরে (এই রে, এই কথা বলার সাথে সাথে না আমার উপর শুরু হয় অশ্লীল আক্রমণ!)৷''

তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইব্রাহীম বিন হারুন লিখেছেন, বোরখা পরা আর সাধারণ পোশাকের মেয়েদের মধ্যে তুলনা করাটা দুঃখজনক৷ ‘‘...বোরখার নীচে ফেরেশতা থাকে না, আমাদের মতোই দোষ-গুণের মানুষ থাকে৷ সাধারণ পোশাকে-ও তাই৷ কে কেমন আচরণ করবে, তা তার নিজের চরিত্র দ্বারা নির্ধারিত হয়, পোশাক দ্বারা না৷ সাধারণ পোশাক পরে অনেক মেয়েকে আমি নিকৃষ্টতম অপকর্ম করতে দেখছি, তার মানে এই নয় যে, সাধারণ পোশাকের সব মেয়েকে খারাপ বলতে হবে৷''

এদিকে, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মাহমুদুল হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ......মাথায় টুপি, মুখে লম্বা দাঁড়ি......তার মানে বাঙালি না.(!!).....বাংলা ভাষায় তাঁর এতো অবদান রাখার কি দরকার ছিল? আর আমার প্রিয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা নাই বা বলি...... যাই হোক, ‪মিতা হক‬ এর মুখে দাড়িওয়ালা কবির লিখে যাওয়া কোনো গান শোনা মানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই অপমান করা৷''

মোবাশ্বার হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘...আজকে থেকে আমি মিতা হককে একজন শিল্পী বলতে নারাজ৷ আমার মতে একজন শিল্পী সৃষ্টিশীল কাজ করবেন৷ তার মন থাকবে মননশীল৷ মিতা শুধুই একজন গায়িকা৷ ঠিক যে কারণে কয়েকটা কোরান এর আয়াত ব্যবহার করে মানুষের প্রতি ঘৃণার উদ্রেককারী একজন ওয়াজকারী আলেম হতে পারেননা, ঠিক একই কারণে মিতা হক শিল্পী হতে পারেননি৷''

তবে তারেক আজিজ বলছেন, মিতা হকের বক্তব্যকে ভুলভাবে তুলে ধরছেন অনেকে৷ আজিজের মতে, মিতা হক ‘যারা মাথায় ঘোমটা দেয় তারা আর যাই হোক বাঙালি হতে পারেনা' এই কথাটি বলেন নি৷ ‘‘মিতা হক বলেছেন যারা এইরকম পোশাক পরেন তারা আর যাই হোক বাঙালি নন৷ তিনি কোথাও পরিষ্কার করে বলেন নি যে মাথায় ঘোমটা দিলে অবাঙালি হবে৷ বরং বোরকা/হিজাব ওয়ালিদের প্রতিই তার ইঙ্গিত ছিল৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য