1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মিলানে ফিরছি না, থাকব অ্যামেরিকাতেই’- বেকহ্যাম

১ আগস্ট ২০১০

না৷ তৃতীয়বারের জন্য বেকহ্যাম ফিরছেন না এসি মিলানে৷ যার আরেকটা অর্থ, কোনদিনই বেকহ্যাম মিলানে ফিরবেন না৷ বয়স এখন পঁয়ত্রিশ৷ চোট আঘাত৷ বেকহ্যামের দিনকাল তাহলে শেষ হল প্রায়!

https://p.dw.com/p/OZMl
সস্ত্রীক ডেভিড বেকহ্যামছবি: AP

২০১০ সালটা তেমন ভালো নয় ডেভিড বেকহ্যামের জন্য৷ পঁয়ত্রিশে পা দিয়েই একাধিক দুঃসংবাদ৷ এই বছরেরই মার্চ মাসে রোজোনেরির জন্য মাঠে নেমে অ্যাকিলিস-এ চোট পান বেকহ্যাম৷ সেই চোট এমনই মারাত্মক হয়ে উঠল যে জীবনে চতুর্থবার, শেষবার তো অবশ্যই, বিশ্বকাপ খেলার সুযোগটা গেল ফস্কে৷ ফাবিও কাপেলোর ইংল্যান্ড দলের প্রচারসচিব হয়েই বেকহ্যামকে কাটাতে হল দক্ষিণ আফ্রিকায়৷ যদিও এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলটার জন্য গর্ব করার মত একটা মুহূর্তও তৈরি হয়নি৷ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে রুনির দল৷

তো, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর স্বভাবতই এবার কে কোথায় চললেন, সেসব আলোচনা শুরু হয়েছে৷ কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, অ্যামেরিকার এলএ গ্যালাক্সি দলের মিডফিল্ডার একদা কিংবদন্তি ফ্রিকিক সম্রাট ডেভিড বেকহ্যাম নাকি মিলানে আবার ফিরে আসবেন৷ কিন্তু রবিবার এসি মিলানের কোচ মাসিমো আলেগ্রি সেইসব আলোচনায় খানিকটা ঠান্ডা জল ঢেলে দিয়ে বলেছেন, সব বাজে কথা৷ মিলানে বেকহ্যাম ফিরছেন না৷ কারণ জিজ্ঞাসা করলে আলেগ্রির চটপট জবাব, বেকহ্যামের একটা মারাত্মক চোট রয়েছে, সেটা থেকে ওকে সুস্থ হতে হবে৷ তাছাড়া এই বয়সে নতুন করে আবার ফর্মে ফেরা....

সরাসরি কিছু বলেন নি অ্যালেগ্রি, কিন্তু বুঝিয়ে দিয়েছেন ঠারেঠোরে যে মিলানও তাদের ঘরের পুরানো ছেলেকে আর ফিরিয়ে নিতে চাইছে না৷ সম্রাটের বোধহয় দিন সত্যিই ফুরিয়েছে৷

আসলে বেকহ্যাম শনিবার মিলান বনাম আর্সেনালের প্রীতি ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন গ্যালারিতে৷ কোলে পাঁচ বছরের ছেলে রোমিওকে নিয়ে৷ তারপর থেকেই আবার বেকহ্যামের মিলানে ফেরা নিয়ে নতুন করে সরগরম মিডিয়া৷ তবে শেষমেস যে ব্যাপারটা কেঁচে যাবে তাও বোঝা যাচ্ছিল৷ বলেছে, এক ব্রিটিশ খেলাধুলা সাপ্তাহিক৷ বেকহ্যাম নাকি একথাও তাদের বলেছেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চোট সারিয়ে ফেলে মাঠে নামতে চান তিনি৷ সম্ভবত ইউরোপে আর ফিরবেন না ডেভিড বেকহ্যাম৷ আটলান্টিকের ওপারেই থেকে যাবেন৷ সেখানে ফুটবলটা সদ্য গড়ে উঠছে৷ আর ইউরোপে তো আগে থেকেই অনেক বেশি ভিড়৷

সুতরাং, বিশাল অ্যামেরিকার সেই ফাঁকার বাজারে ব্র্যান্ড বেকহ্যাম তো ভালোই বিকোবে৷ তাই না?

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম