1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে গণমাধ্যমের উপর চাপ বাড়ছে

১৫ অক্টোবর ২০১০

মিশরের সংসদীয় নির্বাচনের আর বেশি দেরি নাই৷ এরইমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বলা শুরু হয়েছে, তাদের উপর চাপ আসছে৷

https://p.dw.com/p/Pf7Y
চাপে আছেন ব্লগাররাও (ফাইল ফটো)ছবি: Matthias Spielkamp/by/sa

গত কয়েক বছরে ব্লগস ও ওয়েবসাইটের কল্যাণে তথ্যপ্রবাহে অনেকটা স্বাধীনতা এলেও মিশরের গণমাধ্যমগুলো এখন অভিযোগ করছে, তাদেরকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ নির্বাচন কমিশন যদিও নির্বাচনের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনও ঘোষণা করেনি তবে নভেম্বরে ভোট হতে পারে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে৷ বিশেষ করে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষকদের এই ধারণাকে আরও বদ্ধমূল করছে যে, নির্বচনের আর বেশি দেরি নাই৷ এর মধ্যে রয়েছে এয়ার ওয়েভস থেকে টেলিভিশন স্টেশনের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে দেওয়া, একটি পত্রিকার নামকরা একজন সম্পাদককে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা এবং নতুন নতুন আইন চালু করে সম্প্রচার মাধ্যমগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা৷

‘সাংবাদিক প্রতিরক্ষা কমিটি'র সদস্য মোহাম্মদ আব্দেল দায়েম বলছেন, ‘‘অশান্তি সৃষ্টি করে স্বাভাবিক অবস্থা বাধাগ্রস্ত করার এটা একটা উপায়৷''

অন্যদিকে সরকার বলছে, গণমাধ্যমের ক্ষমতা কতটুকু তা স্পষ্ট করতে একটি সুশৃঙ্খল নিয়ম-নীতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে৷ সাংবাদিকদের বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপের কথা অবশ্য অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ৷ গত ৩০ বছর ধরে প্রেসিডেন্টের আসনে অধিষ্ঠিত হোসনি মোবারক৷ তাঁর নেতৃত্বাধীন এই দেশে সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে যারা তাদের মধ্যে উদ্বেগ স্পষ্ট৷

এই তো একেবারে সম্প্রতি ঐ দেশের জাতীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের এক নির্দেশের কারণে বিরোধীদলীয় লোকজন মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানোর ক্ষেত্রেও বাধানিষেধের সম্মুখীন হচ্ছে৷

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘দ্য অ্যারাবিক নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস ইনফরমেশন' মনে করছে, সাম্প্রতিককালের ঘটনাগুলো নভেম্বর মাসে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সরকারের গণমাধ্যমগুলোর কণ্ঠরোধ করার পরিকল্পনার স্পষ্ট প্রমাণ দিচ্ছে৷ মিশরের নিষিদ্ধ বিরোধীদল ‘মুসলিম ব্রাদারহুড'এর নেতা মোহাম্মদ হাবিব জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ'কেকে বলেছে, ‘‘সরকার নি:শব্দে ষড়যন্ত্রের খেলা খেলছে৷''

বলা হচ্ছে, অতীতেও মিশরের সাংবাদিকদের উপর নানারকম বাধানিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ কিন্তু এই দমননীতি এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক