1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে ষষ্ঠ দিনের মত চলছে সরকার-বিরোধী আন্দোলন

৩০ জানুয়ারি ২০১১

মিশরে সরকার-বিরোধী আন্দোলন ষষ্ঠ দিনে গড়ালো৷ প্রথমবারের মত ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেও বিক্ষোভ কমাতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক৷

https://p.dw.com/p/107Rc
প্রথমবারের মত নিয়োগ দেয়া ভাইস-প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করছেন প্রেসিডেন্ট মুবারকছবি: dapd

সর্বশেষ পরিস্থিতি

আজ সকালে কায়রোর রাস্তায় তেমন লোক দেখা যায় নি৷ তবে বিকেলের দিকে তাহরির স্কোয়ারে লোক সমাগম শুরু হয়৷ এবং এখন সেখানে হাজার হাজার লোকের জমায়েত হয়েছে৷ তারা মুবারক-বিরোধী স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন৷ তবে গত দুদিনের তুলনায় আজকের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত৷ কারণ রাস্তায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি আরও বাড়ানো হয়েছে৷ তবে পুলিশের দেখা নেই৷ আন্দোলনের কারণে নিহতের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়ে গেছে বলে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে৷ এদিকে প্রেসিডেন্ট মুবারক কায়রোর একটি সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন৷ সেখানে তিনি ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন৷ এছাড়া সরকারের নির্দেশ পাওয়ার পর স্যাটেলাইট অপারেটর ‘নাইলস্যাট' আল-জাজিরা টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে৷ ফলে আরব বিশ্বের কিছু অংশে আল-জাজিরা দেখা যাচ্ছে না বলে খবর পাওয়া গেছে৷ কিছুক্ষণ আগে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সরকার সেনাবাহিনীকে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে৷

Ägypten Proteste
তাহরির স্কোয়ারে সেনা পাহারা বাড়ানো হয়েছেছবি: dapd

কারাবন্দি পলায়ন

গত রাতে কায়রোর একটি কারাগার সহ দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে হাজার হাজার বন্দি পালিয়ে গেছে৷ তবে এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বন্দি মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে৷ কায়রোর কারাগারটিতে মুসলিম জঙ্গিদের আটকে রাখা হয়েছিল৷ তারাও পালিয়ে গেছে৷ যেমন হামাসের বন্দি থাকা আট নেতা পালিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷ এদের মধ্যে দুজন ইতিমধ্যে গাজায় ফিরেও গেছেন৷ আর বাকিরা যে কোন সময় পৌঁছে যাবে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি'কে জানিয়েছেন গাজার নিয়ন্ত্রক হামাস সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা৷

বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

মুসলিম বিশ্বে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড়ে বন্ধু মিশর৷ তাই সেখানকার অরাজক পরিস্থিতি ইসরায়েলকে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ফেলে দেয়ার কথা৷ কিন্তু এতদিন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কেউ কোনো কথা বলছিলেন না৷ তবে আজ মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু৷ তিনি বলছেন, তারা মিশরের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন৷ এবং বিষয়টি নিয়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ নিজ দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানান৷ এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে তারা মিশরে সরকার পরিবর্তন নয়, ‘সত্যিকারের সংস্কার' দেখতে চায়৷ এছাড়া কুয়েত ও সৌদি আরব মুবারক সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান