1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বৌদ্ধ কট্টরপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক

৭ জুন ২০১৮

ফেসবুকে রোহিঙ্গাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক পোস্ট সরাতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছে ফেসবুক৷ কট্টরপন্থি এক বৌদ্ধ গোষ্ঠী ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো একাধিক ভিক্ষুকে সামাজিক যোগাযোগ সাইটটিতে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2z5A4
ছবি: picture-alliance/empics/D. Lipinski

ফেসবুক বৃহস্পতিবার জানিয়েছে এই তথ্য৷

মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের ব্যবহারকারী৷ সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, মিয়ানমার থেকে ফেসবুকে এখন অবধি ১৮ মিলিয়ন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যা ৫০ মিলিয়নের মতো৷

বৌদ্ধপ্রধান দেশটির এত মানুষ ফেসবুকে উপস্থিত থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি সেদেশে ফেসবুকের অপব্যবহার রোধে বিশেষ সক্রিয় ছিল না৷ সম্প্রতি জাতিসংঘের তদন্তকারীরাও জানিয়েছেন, দেশটিতে নানা অপপ্রচারমূলক কর্মকাণ্ডে ফেসবুক ব্যবহার করা হচ্ছে৷ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উস্কানি দিতে ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ সাইটটি৷

গত কয়েক বছর ধরে ফেসবুকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালানোর পর গত বছর সংখ্যালঘু গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে এক সেনা অভিযান শুরু হলে অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷ সেই অভিযানে অনেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে৷

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত নেতিবাচক প্রচারণায় ফেসবুকের ব্যবহারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনায় আসার পর অবশ্য টনক নড়েছে প্রতিষ্ঠানটির৷ চলতি সপ্তাহে দেশটিতে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হচ্ছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য অভিযানে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি৷ ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে কট্টরপন্থি বৌদ্ধদের গোষ্ঠী ‘মা বা থা’ এবং পারমাউক্খা ও থুসেইত্তা নামের দুই উগ্রপন্থি বৌদ্ধ ভিক্ষুকে ফেসবুকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷

ফেসবুকের কন্টেন্ট পলিসি ম্যানেজার ডেভিড কারাগ্লিয়ানো এই বিষয়ে বলেন, ‘‘তাদের ফেসবুক ব্যবহারের কোনো অধিকার নেই এবং অন্য কেউ যদি তাদের পক্ষে কোনো কিছু ফেসবুকে পোস্ট করে, তাহলে তাদেরও প্লাটফর্মটিতে নিষিদ্ধ করা হবে৷’’

অ্যাক্টিভিস্টরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, ফেসবুক সাধারণত আপত্তিকর কোনো পোস্ট ফেসবুকে প্রকাশের আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নিলেও মিয়ানমারের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি কালক্ষেপণ করতো৷ এমনকি কোনো কোনো সময় বিদ্বেষমূলক পোস্ট সরিয়ে নেয়াও হতো না৷

মিয়ানমারের পোস্টের ক্ষেত্রে সাড়া দিতে দেরি হওয়ার বিষয়টি ফেসবুকও স্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে যে, মিয়ানমার থেকে প্রকাশিত কন্টেন্ট দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির সিঙ্গাপুর এবং ব্যাংকক কার্যালয়ে কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, যাদের মধ্যে মিয়ানমারের ভাষা জানা কর্মীরাও রয়েছেন৷ তবে ঠিক কতজন কর্মীকে এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে তা জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি৷

উল্লেখ্য, ফেসবুক থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্যচুরির এক ঘটনা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে বর্তমানে চাপে রয়েছে ফেসবুক৷ তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ‘ভুয়া খবরের’ বিস্তৃতি রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে৷

এআই/এসিবি (এএফপি, এপি)