1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে সহায়তা প্রকল্প স্থগিত করল জার্মানি

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সহিংসতার কারণ দেখিয়ে মিয়ানমারে জার্মান সহায়তায় পরিচালিত কয়েকটি প্রকল্পের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জার্মান সরকার৷ সংঘাত বন্ধ হলে সেগুলো আবার চালু হবে৷

https://p.dw.com/p/2jloD
Krise Myanmar - Rohingya-Flüchtlinge
ছবি: Reuters/D. Siddiqui

জার্মানির উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্যাথরিনা ম্যানৎস সোমবার বলেন, যেসব অঞ্চলে সহিংসতা চলছে সেখানে প্রকল্পগুলো ‘নিস্ক্রিয় অবস্থায়' রাখা হয়েছে৷ যখনই সংঘাত বন্ধ হবে তখনই সেগুলো আবার চালু করা হবে বলেও জানান তিনি৷ ম্যানৎস জানান, খাদ্য নিরাপত্তা, চাকরি সৃষ্টি ও চিকিৎসা সেবা খাতে সহায়তা দিয়ে থাকে জার্মানি৷

এদিকে জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টেফান সাইবার্ট বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধের দেশ মিয়ানমারের ‘নাটকীয় অবস্থা' খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জার্মানি৷ সংঘাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও ‘বিশেষ করে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চিকে' সংঘাত বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি৷

এর আগে শনিবার এক বিবৃতিতে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল বলেছিলেন, ‘‘মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংস পরিস্থিতিতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷ এতে করে আবারও অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে৷ সাধারণ মানুষদের জীবনের স্বার্থে আমি সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই৷'' এতসংখ্যক রোহিঙ্গাকে সামলানো বাংলাদেশের জন্য কঠিন বলেও মন্তব্য করেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ‘‘বাংলাদেশের এমন পদক্ষেপকে আমরা প্রশংসা করি ও স্বাগত জানাই,'' বলেন তিনি৷

এদিকে মিয়ানমারের সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে৷ ব্রিটেন ও সুইডেনের অনুরোধে এই বৈঠক বসছে৷

জাতিসংঘের কূটনীতিকরা বলছেন, মিয়ানমারের অন্যতম বাণিজ্যিক অংশীদার চীন মিয়ানমারের সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা প্রতিহত করছে৷

এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান জায়িদ রা'দ আল হুসেইন সোমবার বলেন, মিয়ানমারে যে সহিংসতা চলছে তা ‘এথনিক ক্লিনজিংয়ের একটি টেক্সটবুক উদাহরণ' বলে মনে হচ্ছে৷ তিনি বলেন, দেশটিতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা সহিংসতা আর অবিচারের মুখোমুখি হচ্ছে৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তদন্তকারীদের সেখানে যেতে দেয়া হয়নি৷ জায়িদ, যিনি জর্ডানের একজন প্রিন্স, বলেন, ‘‘রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের ঘর-বাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে - মিয়ানমার সরকারকে তাদের এমন দাবি থেকে সরে আসতে হবে৷'' তিনি এই পরিস্থিতিকে ‘বাস্তবতাকে অস্বীকার' বলে মন্তব্য করেন৷

মিয়ানমার নিয়ে অবশেষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস৷ মুখপাত্র সারাহ হুকাবে বলেছেন, রাখাইনে জঙ্গি হামলাসহ উভয়পক্ষের অভিযান নিয়ে ‘গভীর অস্বস্তিতে' আছে যুক্তরাষ্ট্র৷

এদিকে সোমবার দিনের শেষে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে৷ অং সান সু চি এই মন্ত্রণালয়ের প্রধান৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ যেসব বিবৃতি প্রকাশ করেছে, মিয়ানমার তাকে স্বাগত জানায়৷'' তবে বিবৃতিতে জাতিসংঘের এথনিক ক্লিনজিং বিষয়ক অভিযোগের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি৷ মিয়ানমার সেনাবাহিনী স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে তাদের যে দায়িত্ব, তা পালন করছে বলেও ঐ বিবৃতিতে জানানো হয়৷

জেডএইচ/এসিবি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য