1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, অখুশি সু চি-র সমর্থকরা

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মিয়ানমারের সেনা-শাসকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করল অ্যামেরিকা। কিন্তু সু চির সমর্থকরা আরো কড়া পদক্ষেপ চান।

https://p.dw.com/p/3pFVO
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।ছবি: AP Photo/picture alliance

সেনা-শাসক ও কার্যকরী প্রেসিডেন্ট মিন অং হ্লেইং ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল মিয়া টুন এবং অন্যদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অ্যামেরিকা। প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনিক নির্দেশে বলেছেন, মিয়ানমারের জেনারেলরা অ্যামেরিকায় তাঁদের প্রায় ১০০ কোটি ডলারের সম্পত্তি আপাতত ভোগ করতে পারবেন না। এছাড়া বাকি বিষয়গুলি সপ্তাহান্তে জানা যাবে। তবে অ্যামেরিকা জানিয়ে দিয়েছে, সেনা-শাসকরা যদি গণতন্ত্র না ফেরান, তাহলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

সেনা প্রধান জেনারেল মিন অং এখন প্রশাসনিক, সামরিক ও বিচারবিভাগের প্রধান হয়েছেন। তাঁর হাতেই সব ক্ষমতা কেন্দ্রিভূত। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রিসভায় আছেন প্রচুর উচ্চপদস্থ সেনা অফিসাররা। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অ্যামেরিকা। সেনা নিয়ন্ত্রিত তিনটি হীরে-জহরতের কোম্পানির উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সু চি-র সমর্থকরা খুশি নন

সু চি-র সমর্থকরা মনে করছেন, অ্যামেরিকা যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা যথেষ্ট নয়। গত ছয় দিন ধরে সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁরা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েও বলেছেন, এটা যথেষ্ট নয়। আরো কড়া ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

সু চি-র এক সমর্থক সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ''সেনা-শাসনে আমরা প্রতিদিন নির্যাতিত হচ্ছি। তাই আমরা আরো কঠোর ব্যবস্থা চাই।'' ফেসবুকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সেনা-শাসকদের তরফে পোস্ট নিয়ে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেনা-শাসকরা কোনো পোস্ট মুছে দিতে বললে, তা ফেসবুক মানছে না।

অ্যামেরিকার রাজস্বমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, যদি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ঠেকাতে জুলুম করা হয়, তা হলে অ্যামেরিকা আরো ব্যবস্থা নেবে।  বাইডেন ইতিমধ্যে সেনা-শাসকদের ক্ষমতা ছাড়ার কথা বলেছেন। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও জানিয়ে দিয়েছে, তারা মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান মেনে নিচ্ছেন না।

সেনা-শাসক মিন অং অবশ্য জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)