1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার সেনাদের ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা

৫ আগস্ট ২০১৯

মিয়ানমারের অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেদেশের সেনা সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একদল মানবাধিকার কর্মী৷ এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক বিদেশি কোম্পানির ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3NMax
Bildergalerie Myanmar Rohingya Flüchtlinge flüchten nach Bangladesch
ফাইল ফটোছবি: Reuters/M. Ponir Hossain

জাতিসংঘের একদল মানবাধিকার কর্মী বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে সোমবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন৷ মিয়ানমারের সেনারা জড়িত এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করতে সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা৷ তাদের বক্তব্য, যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশটি তাদের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তাই তাদের সঙ্গে ব্যবসা করাএসব কাজে তাদের সহযোগিতা করারই শামিল৷

সর্বশেষ ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনা অভিযানে রাখাইন থেকে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যান৷ এ সময় তাদের অনেককে হত্যা করা হয় এবং অনেক নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে৷

‘‘প্রথমবারের মতো প্রতিবেদনে বেরিয়ে এলো যে, এসব কোম্পানির সঙ্গে নির্দিষ্ট ইউরোপীয় ও এশিয়ান কিছু কোম্পানির লেনদেন রয়েছে, যা জাতিসংঘের চুক্তি ও আদর্শ ভঙ্গের শামিল,'' জাকার্তায় রোববার তদন্ত কমিটির চেযারম্যান মারজুকি দারুসমান এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন৷

তদন্তে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, হংকং ও চীনের কমপক্ষে লেনদেন আছে এমন অন্তত ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ মিলেছে, যেগুলোর সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কোনো-না-কোনো যোগসাজশ রয়েছে৷

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র না বিক্রির আহ্বানও জানানো হয় তদন্ত প্রতিবেদনে৷ বলা হয়, ইসরায়েল, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের ১৪টি কোম্পানি ২০১৬ সাল থেকে বার্মিজ সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে৷

দারুসমান আরো বলেন, ‘‘কর্পোরেশনের ভেতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও তাদের কাজের জন্য দায়বদ্ধ৷'' তাই তিনি মনে করেন, সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি করে তারাও পরোক্ষভাবে ‘‘মিয়ানমারের জনগণের ওপর নির্যাতনের জন্য দায়ী৷''

তদন্ত প্রতিবেদনটি মিয়ানমার সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে প্রতিবেদনের বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কথা বলার জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি৷ তবে মিয়ানমার সরকার বরাবরই রাখাইন প্রসঙ্গে জাতিসংঘের অবস্থানকে ‘একপাক্ষিক' বলে দাবি করে এসেছে৷

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া ও ক্যানাডা মিয়ানমারের উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের তাদের দেশে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ সবশেষ গেল জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বার্মিজ সেনাপ্রধান মিন অং হ্লায়েং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ জাতিসংঘ মিয়ানমারের উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিসি)-তে বিচারের আহ্বান জানিয়েছে৷ আইসিসি এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য