1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুদ্রাস্ফীতি বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে মনমোহন সিং সরকার

১১ জানুয়ারি ২০১১

অত্যাবশ্যক জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং আজ এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন৷ কিন্তু সেই বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া না যাওয়া, বৈঠক বসবে আবারো আগামিকাল৷

https://p.dw.com/p/zwGK
ছবি: picture alliance/dpa

ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি৷ ইতিমধ্যেই তা ১৮% ছাড়িয়ে গেছে৷ বিশেষ করে পেঁয়াজ, দুধ, ফল, শাকসব্জি, ডিম ও মাংসের মতো খাদ্য সামগ্রীর৷ জোগানের স্বল্পতার কারণে পেঁয়াজের খুচরো দাম দেশের সব জায়গায় এখন ৫৫-৬০ টাকা কিলো৷ নতুন পোঁয়াজ বাজারে এলেও দামের তারতম্য হয়নি৷ তাই মূল্যবৃদ্ধির রাশ টানতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার৷ তার ওপর মজুতদারদের গুদামে আয়কর হানা, আমদানি শুল্ক হ্রাস, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মূদ্রানীতি সত্বেও দাম কমার লক্ষণ নেই৷ জরুরি আরো কী পদক্ষেপ নেয়া যায়, তাই নিয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং আজ তাঁর বাসভবনে ডাকেন এক উচ্চপর্য়ায়ের বৈঠক৷ যাতে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী, খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং অন্যান্যরা৷

দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রতন খাসনবিশ ডয়চে ভেলেকে বলেন, মূল কারণ জোগানের স্বল্পতা৷ তবে শুধু জোগানের স্বল্পতায় এই রকম মূদ্রাস্ফীতি হবার কথা নয়৷ আসলে খোলা বাজার অর্থনীতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ নেই৷ যেমন পেঁয়াজের জোগান কম ছিল৷ কিন্তু সরকার যদি নাসিকের ব্যবসায়ীদের যথেচ্ছভাবে মজুত করার সুযোগ না দিতেন, তাহলে পেঁয়াজের দাম এতটা বাড়তোনা৷ স্বল্পতাকে কাজে লাগিয়ে মজুতদাররা দু'দিনেই কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন করেছে৷ এতে বোঝা যায়, মজুতদার ও রাজনীতিকদের মধ্যে আছে এক অশুভ আঁতাত৷ তাই সরকারের যা করা উচিত তাহলো, মজুত উদ্ধারের কড়া আইন৷ আগেকার আইনে রাজ্য সরকারগুলি কিছু করতে পারতো৷ কিন্তু এখন আন্তঃরাজ্য পণ্য চলাচল অবাধ হওয়ার ফলে, কলকাতায় মজুতদারদের ধরার আগেই তারা মাল পাচার করে দেয় অন্য রাজ্যে৷ তাই মজুত উদ্ধারে সব রাজ্যকে একযোগে অভিযান চালাতে হবে, তা নাহলে কিছু হবেনা৷ অধ্যাপক খাসনবিশ বলেন, উন্নত দেশগুলিতে সরকার অত্যাবশ্যক জিনিসপত্রের দামের ওপর নজর রাখে৷ এমন কী, তৃতীয় বিশ্বের শ্রীলঙ্কাও এটা করে থাকে৷

অন্যদিকে, খাদ্যদ্রব্যের দামবৃদ্ধি এক রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে৷ যেমন, মুদ্রাস্ফীতি ৬% ছাড়াতে ৯০'এর দশকে গদি ছাড়তে হয়েছিল পি.ভি নরসিমহা রাও'এর কংগ্রেস সরকারকে৷ মূদ্রাস্ফীতি ৮% পেরিয়ে গেলে ২০০৪-এ ধরাশায়ী হতে হয়েছিল বিজেপি জোট সরকারকে৷ বছর খানেকের মধ্যে ভারতের ৮-৯টি রাজ্যে ভোট৷ তাই এখন থেকেই মনমোহন সিং সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর মুদ্রাস্ফীতিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ