1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুরগির জিন সংশোধন

৮ জুন ২০১৯

বিজ্ঞানীরা এমন মুরগি জন্ম দেবেন যার দেহে বার্ড ফ্লু বাসা বাঁধতে পারবে না৷ মুরগির জিন এডিট করে সেই পথে এক ধাপ এগিয়েও গেছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/3K2cq
Südafrika Hühnerhaltung
ছবি: picture-alliance/dpa/N. Bothma

অন্তত একশ' বছর ধরে বিশ্বে বড় এক আতঙ্কের নাম বার্ড ফ্লু৷ সর্বশেষ ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়েছিল এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাস৷ তবে পাখিবাহিত ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে৷ তখন একই ভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছিল প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ৷

আবার বার্ড ফ্লু-র এমন হানার আশংকা থেকে বিশ্বকে দূরে রাখার উপায় দীর্ঘ দিন ধরেই খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা৷ এতদিন নিশ্চিত কোনো উপায় তাঁরা খুঁজে পাননি৷ তবে অবশেষে ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজ এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসলিন ইনস্টিটিউটের গবেষকরা তেমন সাফল্যই পেতে চলেছেন৷ পরীক্ষাগারে মুরগির ছানার ডিএনএ-র একটি অংশ থেকে এএনপি৩২ প্রোটিন সরাতে পেরেছেন তাঁরা৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রোটিনেই বার্ড ফ্লুর ভাইরাস আশ্রয় নেয়৷ সুতরাং এই প্রোটিন মুরগির ডিএনএ থেকে সরানোর ফলে মুরগি ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশংকা থেকে একেবারে মুক্ত৷

গত ৪ জুন বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ইলাইফ-এ এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ ছাপা হয়েছে৷ সেখানে রসলিন ইনস্টিটিউটের গবেষক মাইক ম্যাকগ্রিউ জানিয়েছেন, তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্য জিন-এডিটিং টেকনোলজির মাধ্যমে এমন মুরগি জন্ম দেয়া যা বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হবে না৷ ইলাইফকে তিনি বলেছেন, ‘‘এটা (গবেষণায়) এমন এক অগ্রগতি যার ফলে আমরা এখন জিন-এডিটিং টেকনোলজি ব্যবহার করে বার্ডফ্লু-প্রতিরোধী মুরগি জন্ম দেয়ার আশাও করতে পারি৷'' মাইক ম্যাকগ্রিউ অবশ্য এ-ও জানিয়েছেন যে, এখনো সেই ধরনের মুরগির ছানা জন্ম দেয়া সম্ভব হয়নি৷ তা করার আগে এডিট করা ডিএনএ মুরগির দেহে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান বিজ্ঞানীরা৷

এসিবি/কেএম (রয়টার্স)