1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুসলিম ভেবে শিখকে গালি!

২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জাতিবৈচিত্র্যের এক অনন্য উদাহরণ ক্যানাডা৷ কিন্তু তাই বলে দেশটিতে যে জাতিবিদ্বেষ থেমে আছে, তা কিন্তু নয়৷ এবার এক মুসলিমবিদ্বেষী এক নারীর রোষের মুখে পড়তে হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিখ ক্যানাডিয়ানকে৷

https://p.dw.com/p/2kPvk
ফাইল ফটোছবি: Getty Images/AFP/N. Nanu

নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা এনডিপির বেশ জনপ্রিয় একজন নেতা জগমিত সিং৷ ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই শিখ ক্যানাডিয়ান এখন এনডিপির শীর্ষ পদে যাওয়ার জন্য লড়াই করছেন৷ সেই প্রচারণার অংশ হিসেবে অন্টারিও-র এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন জগমিত৷

কিন্তু শুরুতেই বাধে বিপত্তি৷ মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে শব্দ পরীক্ষা করে বক্তব্য শুরুর আগেই তাকে পড়তে হয় জেনিফার নামের এক নারীর রোষে৷ নিজেকে একজন শিশু ও নারী অধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন জেনিফার৷

মুখে দাঁড়ি এবং মাথায় পাগড়ি দেখে জগজিতকে মুসলিম ভেবে ভুল করেন তিনি৷ বারবার প্রশ্ন করছিলেন, ‘‘তোমাদের এই শরিয়া আইনের শেষ কোথায়?'' জেনিফার প্রশ্ন তুলছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুড নিয়েও৷

জগমিতের সহকর্মীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে পুলিশ ডাকার হুমকি দেন জেনিফার৷ তবে জগমিত সিং জেনিফারের ভুল ভাঙানোর চেষ্টা করেননি৷ বরং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঘৃণা দ্বারা প্ররোচিত হব না৷ এসময় পুরো হলজুড়ে একযোগে জগমিতের নির্বাচনি স্লোগান ‘ভালোবাসা এবং সাহস' বলতে থাকেন সবাই৷ এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে বের হয়ে যান জেনিফার৷

ঘটনার ভিডিও ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে উল্কার গতিতে৷ বিভিন্ন সংস্কৃতি বিষয়ে ‘না জেনে' মন্তব্য করার জন্য অনেকেই সমালোচনা করেন জেনিফারের৷ কেউ কেউ অবশ্য ‘আমি মুসলিম না' বললেই পারতেন জগমিত, এমনটাও মনে করছেন৷

তবে সব কথার উত্তর দিতে একটি টুইট করেছেন জগজিত নিজেই৷ বলছেন, ‘‘আমি মুসলিম না বলার মানেই হচ্ছে, মুসলিমদের ঘৃণা করার মানসিকতাকে বৈধতা দেয়া৷….সব ধরনের ঘৃণার বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷''

এডিকে/ডিজি