1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত?

৭ জানুয়ারি ২০১১

গত বছর থেকেই নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস’কে নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ এবং ব্যাপারটা যেমন ক্রমে কোনো সরকারি পদক্ষেপ কি হস্তক্ষেপের দিকে এগোচ্ছে, অপরদিকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও শুরু করেছে৷

https://p.dw.com/p/zuXb
নোবেল, বিজয়ী ,অধ্যাপক, মুহাম্মদ, ইউনূস, Dr, Muhammad, Yunus, Bangladesh, Nobel, Laureate, press, conference, Dhaka
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসছবি: DW

বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় ইউনূসকে নিয়ে আলোড়ন৷ সাংবাদিকরা যে কর্মকর্তাকেই পাচ্ছেন, তাঁকে প্রশ্ন করছেন৷ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তহবিল হস্তান্তরের অভিযোগ অনুসন্ধান করার জন্য কমিটি হবে, এটা দৃশ্যত নিশ্চিৎ৷ তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রবিবার সিঙ্গাপুর যাবার আগেই তা ঘটবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের উদ্ধৃতিতে তিনি যে ইঙ্গিতই দিয়ে থাকুন না কেন৷

কমিটির কাজটা যে কি হবে, সেটাই কেউ স্পষ্ট করতে বলতে চাইছেন না অথবা পারছেন না৷ যুগান্তর জানাচ্ছে, কমিটি গঠন সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সারসংক্ষেপ এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে৷ তিনি অনুমোদন দিলেই কমিটি কাজ শুরু করবে৷ সারসংক্ষেপে নাকি নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ‘ক্ষুদ্র ঋণের ফাঁদে' প্রামাণ্যচিত্র থেকে শুরু করে গ্রামীণ ব্যাংকের দীর্ঘ ২২ বছরের আয়কর ছাড় বাতিলের প্রস্তাব, সব কিছুই আছে৷ নরওয়ের প্রামাণ্যচিত্রটিতে ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণ নামের এক সহযোগী প্রতিষ্ঠানে তহবিল স্থানান্তরের অভিযোগ ওঠে৷ অপরদিকে সরকারের মতে গ্রামীণ ব্যাংক কোনো এনজিও নয়, বরং একটি বিশেষায়িত ব্যাংক৷ কাজেই তাদের আয়কর দেওয়া উচিৎ৷

কমিটির গঠন তো গোপনীয় বটেই, এমনকি যুগান্তরের খবর অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠনে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির উপর কী প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হয়েছে৷ আরও মজার কথা, গোপন বৈঠকে নির্দিষ্ট করে নাকি আগেই অভিযোগ সম্পর্কে গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় - এবং গ্রামীণ ব্যাংক নাকি সে ব্যাখ্যা সরবরাহও করে৷ এখন ঐ ব্যাখ্যা সরকারের কাছে কতোটুকু গ্রহণযোগ্য, তার চুলচেরা বিশ্লেষণের জন্যই নাকি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জানাচ্ছে যুগান্তর৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই