1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৃত্যুদন্ডের প্রথা বন্ধ করার চেষ্টায় জাতিসংঘের সম্মেলন

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী খোসে লুইস রডরিগেস সাপাতেরো ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান করেছেন৷

https://p.dw.com/p/MA9h
মৃত্যুদন্ডের প্রথা বন্ধ করার পক্ষে সরব বিশ্বের একটা বড় অংশছবি: picture alliance / dpa

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে মৃত্যুদন্ড বিরোধী বিশ্ব কংগ্রেসের প্রথম দিনে সাপাতেরো এই বক্তব্য রাখেন৷

প্রাণদণ্ড রোধের পথ প্রশস্ত করতে জেনেভায় জাতিসংঘের এই চতুর্থ বিশ্ব সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সাপাতেরো বলেছেন, যেসব দেশে এখনও মৃত্যুদন্ড চালু আছে তাদের সঙ্গে স্পেন আলোচনা করবে এই আশা নিয়ে যে, তারা অবশেষে এই প্রথা বন্ধ করার উদ্যোগ নেবে৷

উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ড বিরোধী একটি ঘোষণা প্রকাশ করে৷ তবে বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কোন সময়সূচি সে দেয় নি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন ও ইরানের মত দেশগুলোকে ইইউ কীভাবে তাদের মৃত্যদণ্ড সংক্রান্ত আইন পালটাতে রাজি করাবে সেসম্পর্কে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য কিছু বলেননি৷

সাপাটেরো জাতিসংঘের এই জেনেভা কংগ্রেসে বলেছেন, প্রাণদণ্ডের বিরোধিতা করতে স্পেন একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করবে৷

বিশ্বব্যাপী মৃত্যুদণ্ড রদ করার আন্দোলনে ইউরোপের দেশ ইটালির ভূমিকা দুশো বছরেরও বেশি৷ জাতিসংঘে ইটালির রাষ্ট্রদূত লাউরা মিরাকিয়ান বলেন, ‘‘ ইটালিতে প্রাণদণ্ড প্রত্যাখ্যান করার ঐতিহ্য দীর্ঘ এবং তার শিকড় রয়েছে সংস্কৃতির মাঝেই৷ অষ্টাদশ শতাব্দীতেই এই দৃষ্টিভঙ্গির উপস্থিতি দেখা যাবে৷ ১৭৮৬ সালে যুদ্ধের সময় টাসক্যানি অঞ্চলই প্রথম মৃত্যুদণ্ড লোপ করে৷''

আজকের ইটালি অবশ্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে ১৯৪৮ সালে৷ ১৯৮০ সাল থেকে জাতিসংঘের ১৯২ সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের পথ থেকে সরে আসার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট এক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়৷ ইটালির মৃত্যদণ্ডবিরোধী অ্যাকটিভিস্ট মারিও মোরাৎসিটি বলেছেন, ‘‘গত ৩০ বছরে বড় রকমের এক পরিবর্তন ঘটেছে এক্ষেত্রে৷ ইউরোপ হয়েছে বিশ্বের প্রথম মৃত্যদণ্ডমুক্ত মহাদেশ৷''

জেনেভার মানবাধিকার কমিশনে এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইউরোপীয়দের মৃত্যদণ্ডবিরোধী প্রস্তাব ভেস্তে যায় ১৯৯৮ সালে বৃহৎ শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর চীন এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার নানা দেশের বিরোধিতা ও অনিচ্ছার মুখে৷ ২০০৭ সালে সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাব পাশ হয়৷ ইতিমধ্যে ১৪১টি দেশ আর মৃত্যদণ্ড দেয়না৷ ৯৩টি দেশ আইন করে মৃত্যদণ্ড বিলোপ করেছে৷ ৫১টি দেশ এবং আরও ৫টি ভূখন্ডে চালু আছে প্রাণদণ্ডের প্রথা৷ গত বছর অধিকাংশ মৃত্যদণ্ডই কার্যকর করা হয় চীন, সৌদি আরব, উত্তর কোরিয়া আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷

প্রতিবেদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার