1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেক্সিকোর ধনকুবের স্লিম এবারেও এক নম্বরে

৪ এপ্রিল ২০১১

বয়স হয়েছে তাঁর ৭১ বছর৷ কিন্তু স্মৃতিশক্তিতে, বিশেষ করে টাকা পয়সার হিসেবে এক পয়সারও গোলমাল হয়না বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি কার্লোস স্লিমের৷ বিল গেটসকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি অর্থবলে৷

https://p.dw.com/p/10mui
ইনিই বিশ্বের পয়লা নম্বর ধনী কার্লোস স্লিমছবি: AP

কথায় বলে হাতির স্মৃতিশক্তি নাকি সবচেয়ে ভালো৷ সে কিছুই ভোলে না৷ মেক্সিকোর ধনকুবের কার্লোস স্লিমকে তুলনা করা হচ্ছে সেই হাতির সঙ্গেই৷ না৷ চেহারার জন্য নয়৷ স্মৃতিশক্তির জন্য৷ কারণ এই একাত্তরে পৌঁছেও স্লিম নিজের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের কোথায় কত পাইপয়সা বিনিয়োগ করা হয়েছে সব গড়গড় করে বলে দিতে পারেন৷

কার্লোস স্লিম এই সাম্প্রতিক হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীতম ব্যক্তি৷ ২০১০ সালেই তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন বিল গেটস কিংবা ওয়ারেন বাফেকে৷ এ বছরে, মানে চলতি ২০১১ সালে তিনি ফের নিজেকেই নিজে হারিয়ে দিলেন৷ আবার তিনি এক নম্বরেই৷

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও কিছুই করার নেই৷ হিসেব বলছে, স্লিম স্রেফ গত এক বছরে বিশ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছেন৷ বিশ বিলিয়ন ডলার৷ যা কিনা, মেক্সিকো সরকারের এক বছরের পর্যটন শিল্পের যাবতীয় রোজগারের থেকেও বেশি!

বিশ্বের ধনীদের নিয়ে ফোর্বস প্রতি বছর যে তালিকা প্রকাশ করে, সেই তালিকার শীর্ষে তাই এ বছরও নিজের নামটি লিখে ফেলেছেন কার্লোস স্লিম৷ মেক্সিকোর এই ধনকুবেরের মূল ব্যবসা হল টেলিকম্যুনিকেশন৷ ফোর্বস জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে গোটা গ্রহে তিনিই পয়লা নম্বর ধনী৷ যাঁর সম্পত্তি আর ব্যবসার মোট পরিমাণ ৭৪ বিলিয়ন ডলার৷

স্লিম কিন্তু নিজের যাবতীয় টাকা পয়সার হিসেব সবকিছুই নিজের মাথায় রাখতে পছন্দ করেন৷ তাঁকে একবার প্রশ্ন করলেই হলো৷ গড়গড় করে বলে দিতে পারেন, কোথায় কোন ব্যবসায় কত মিলিয়ন ডলার তাঁর খাটছে৷ শুধু তাই নয়, সেইসব ব্যবসায় কত মুনাফা, কত বিনিয়োগ, সে সবের অংকও তাঁর কাছে, যাকে বলে জলবৎ তরলং৷ আর এর জন্য কোন ল্যাপটপ, আইপ্যাড বা কোন ক্যালকুলেটর কিছুই লাগে না এই ধনীতম মানুষটির৷

কিন্তু মেক্সিকোর মত দেশে, যেখানে ৫০ মিলিয়ন দরিদ্র মানুষের বসবাস, সেখানে তাঁর এই বিপুল সম্পত্তি দেশের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার হবে কী? বাৎসরিক সাংবাদিক সম্মেলনে ছেলেপুলে নাতি নাতনি পরিবৃত কার্লোস স্লিম কিন্তু এই প্রশ্নটি শুনে বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে যান৷ উত্তরে জানিয়ে দেন কীভাবে তিনি সামান্য অবস্থা থেকে এতদূর আসতে পেরেছেন৷

একেই বলে আয়রনি৷ কার্লোস স্লিম এখন দরিদ্র দেশ মেক্সিকোতে একটা ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ সে বিশ্ববিদ্যলয়ও হয়তো সাফল্যই পাবে৷ বাড়িয়ে তুলবে তাঁর সম্পত্তি আর অর্থের পরিমাণ৷ কিন্তু তাতে তাঁর দেশের কতটা উপকার হবে এ প্রশ্ন না তোলাই ভালো৷ অন্তত বিশ্বের এক নম্বর ধনী কার্লোস স্লিমের সামনে৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম