1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেদের সঙ্গে যুদ্ধ সেনাবাহিনীর

২৩ জুলাই ২০১০

বড় এক শত্রু খুঁজে পেয়েছে ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম৷ আর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামছে তারা৷ অবশ্য এই শত্রু কোনো দেশ নয়, শত্রু তাদের ভেতরেই৷ তা হলো মেদ৷ সৈন্যরা বেশ মুটিয়ে গেছে, তাই এই যুদ্ধ মেদের বিরুদ্ধেই৷

https://p.dw.com/p/OT5D
বেলজিয়ান সেনাদের মধ্যে এরকম ছিপছিপে গঠন আর তেমন চোখে পড়ছে নাছবি: picture-alliance / dpa/dpaweb

সৈন্যদের মেদ বেশ চিন্তায় ফেলেছে কর্তৃপক্ষকে৷ এই জন্য তারা জরিপও চালিয়েছে৷ দেখেছে, সৈন্যদের ৬০ শতাংশই সোজা বাংলায় যাকে বলে মোটা৷ আর এর মধ্যে ১৫ শতাংশ আবার চর্বির পাহাড়৷ বেলজিয়ামের বার্তা সংস্থা বেলগা দিয়েছে এই খবর৷ আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীতে বেলজিয়ান সৈন্যও রয়েছে৷ সেখানে লড়তে হচ্ছে তালেবানের বিরুদ্ধে৷ এখন মেদবহুল এই সৈন্য কীভাবে মোকাবেলা করবে জঙ্গি তালেবানদের৷ তাই হুকুম হয়েছে, মেদ ঝরাও৷

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইনগ্রিড বেক বললেন, ‘‘বাহিনীর কাজই জরুরি অবস্থায়৷ সবই দ্রুত করতে হয়৷ এই কথাটি দমকল বাহিনীর জন্য যেমন খাটে, তেমনি খাটে সেনাবাহিনীর জন্যও৷ সেনাবাহিনী প্রধান ১০ দিন আগে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন৷ তাই মোটা সৈন্য আর দেখতে চাই না আমরা৷ সবাইকে এক ছাঁচে আনতে হবে৷''

Zu Guttenberg in Kunduz Flash-Galerie
আফগানিস্তানে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুটেনব্যার্গের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশছবি: DW

আগামী শরতেই শুরু হতে যাচ্ছে সৈন্যদের মেদ কমানোর শারীরিক কসরত, আর অবশ্যই তা বাধ্যতামূলক৷ নির্মেদ সৈন্য নিয়েই প্রতিরক্ষার কাজটি করতে চায় কর্তৃপক্ষ৷ মেদবহুল সৈন্য নিয়ে বিপদে পড়তে চায় না তারা৷

ন্যাটো দেশগুলোর মধ্যে শুধু যে বেলজিয়ামের সৈন্যরাই মোটা, তা নয়৷ মার্কিন সেনাবাহিনীতে এই হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ৷ শতকরা হিসেবে কম নে হলেও এই সংখ্যা কিন্তু কম নয়, ৬৯ হাজার৷ আর এই তথ্য পেন্টাগনের৷

এদিকে সৈন্যদের মেদ কমানোর পাশাপাশি নির্মেদ হচ্ছে বেলজিয়ামের সেনাবাহিনী৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করছে, প্রয়োজনের তুলনায় বাহিনীর আকার বড় হয়ে গেছে৷ তাই ঘোষণা দিয়েছে সৈন্য কমানোর৷ আগামী বছরই ১ হাজার ১৫০ জনকে অবসরে পাঠানো হচ্ছে৷ সৈন্যদের সঙ্গে সঙ্গে কাটছাঁট করা হচ্ছে প্রতিরক্ষা বাজেটেও৷ প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ অবশ্য গত দুই বছর থেকেই কমছে৷ দেখা যাচ্ছে, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কোপ বেলজিয়ামে পড়ছে সেনাবাহিনীর ওপরই৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক