1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেলবোর্নে হামলা

৬ জুন ২০১৭

লন্ডনের পরপরই মেলবোর্ন৷ সেখানেও সহিংসতার দায় স্বীকার করলো আইএস৷ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেলবোর্নের ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবেই বিবেচনা করছেন৷

https://p.dw.com/p/2e9uX
মেলবোর্ন
ছবি: Reuters/AAP/J. Smith

সোমবার অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্নে এক অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক অবরোধ করে এক সশস্ত্র ব্যক্তি৷ সেখানে একজনকে হত্যা করে এক নারীকে পণবন্দি করে হামলাকারী৷ তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধ শুরু হয়৷ তখন সে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়৷ ৩ জন পুলিশকর্মীর শরীরে গুলি লেগেছে, তবে তাঁদের অবস্থা সংকটজনক নয়৷

পুলিশ জানিয়েছে, আততায়ীর নাম ইয়াকুব খায়ের৷ ২৯ বছর বয়স্ক সোমালীয় বংশোদ্ভূত এই ব্যক্তি বেশ কিছু অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল৷ ২০০৯ সালে সিডনি শহরে এক সামরিক ঘাঁটির উপর হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়৷ ৩ জনের শাস্তি হলেও ইয়াকুব ও আরেক ব্যক্তি মুক্তি পায়৷ সোমবারের ঘটনার আগে অন্য একটি অপরাধের দায়ে সে কারাদণ্ড ভোগ করছিল৷ প্যারোলে সাময়িক মুক্তি পেয়ে সে হামলা চালায়৷ মেলবোর্নের এক ‘কট্টরপন্থি' ভাবধারার মসজিদে তার যাতায়াত ছিল বলে জানা গেছে৷

প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল এই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা আখ্যা দিয়ে বলেন, চোখ-কান খোলা রাখতে হবে৷ তবে কট্টর ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের সামনে মাথা নত না করে তৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে৷

তথাকথিত ইসলামিক স্টেট মেলবোর্ন হামলার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তাদের বিরুদ্ধে যে জোট সামরিক অভিযান চালাচ্ছে,অস্ট্রেলিয়া তার সদস্য হওয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে৷ তবে পুলিশ এখনো ইয়াকুবের সঙ্গে আইএস-এর যোগসূত্র নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে৷ হামলার সময় ইয়াকুব নাকি আল কায়েদা ও আইসিস – দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরই নাম উল্লেখ করে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য