1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছোট্ট সাম্য কাঁপাচ্ছে ফেসবুক

৩ মে ২০১৯

লিউনা তাসনীম সাম্য তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী৷ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বসবাস তার৷ খুব স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় গান, ছবি আঁকা তার নিতান্তই শখের মধ্যে পড়ে৷ কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎ করেই রীতিমতো তারকায় পরিণত হয়েছে সে৷

https://p.dw.com/p/3HriA
Bangladesch Schülerin Liuna Tasneem Samyo der dritten Klasse einer ländlichen Schule von Melandaha Upazila im Bezirk Jamalpur
ছবি: Tamim Al Yiameen

ঘটনার শুরু ‘মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর’ গানটি দিয়ে৷ মেলান্দহের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম ইয়ামীনের মেয়ে লিলিথের বন্ধু হওয়ার সুবাদে সাম্যর বেশিরভাগ সময় কাটে খেলাধুলা করেই৷ মাঝেমধ্যেই আপন মনে গেয়ে ওঠে নিজের পছন্দের নানা গান৷

এমনই এক গ্রীষ্মের দিনে ইয়ামীনের মনে হয়, শুধু নিজে না শুনে ফেসবুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অন্য বন্ধুদেরও এই খুদে প্রতিভার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া উচিত৷

Bangladesch Schülerin Liuna Tasneem Samyo der dritten Klasse einer ländlichen Schule von Melandaha Upazila im Bezirk Jamalpur
দুই বন্ধু সাম্য আর লিলিথছবি: Tamim Al Yiameen

যেই ভাবা, সেই কাজ৷ হাতের স্মার্টফোনটি নিয়ে শুরু করলেন ফেসবুক লাইভ৷ মাইক্রোফোন হাতে নিলে যেখানে পেশাদার শিল্পিদেরও ঘাম ঝরে, সেখানে অবলীলায় বেশ কঠিন সুরের গানটি সাবলীল কণ্ঠে গেয়ে ওঠে সাম্য

গান গাওয়ার সময় সামনের একটি গামলায় কাঁচা আম ভর্তার প্রস্তুতি চলছিল৷ কিন্তু তাতে সাম্যর গান বা কাজ কোনোটাই একে অপরের বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি৷

ধীরে ধীরে এরপর ছড়িয়ে পরে সাম্যর এই প্রতিভা৷ অনেকেই তাঁর সুমিষ্ট কণ্ঠ ও আদুরে চেহারার ভক্ত বনে গেছেন৷ ‘ন্যাচারাল ট্যালেন্ট’ আখ্যা দিয়ে প্রশংসায় মেতেছেন অনেকে৷

২৬ এপ্রিল আপলোড করা লাইভ ভিডিওটি ৮০ হাজার বার দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে প্রায় ৯০০ বার৷ এছাড়া বিভিন্ন পেজে আপলোড করা হচ্ছে ভিডিওটি৷ সাম্যর বাসায় জাতীয় গণমাধ্যমগুলোও আসছে তার সুরেলা কণ্ঠের জাদু খুঁজতে৷

তামিম ইয়ামীন পরবর্তীতে সাম্যর বিস্তারিত পরিচয় দিয়েছেন ফেসবুকে, ‘‘মা Arjuman Mostari ও বাবা আজমত আলী'র ২য় সন্তান সাম্য৷ উপজেলা সমাজসেবা অফিস, মেলান্দহর অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন আজমত৷ আমাদের উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি'র শিক্ষার্থী সাম্য গান গাওয়া, ছবি আঁকা ও নাচার পাশাপাশি পড়াশুনাও করে, এবং খুব ভালোভাবে করে৷ সে উত্তর মেলান্দহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী৷''

তিনি লিখেছেন, ‘‘ওকে দেখতে চাইলে আপনাকে আসতে হবে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায়৷ আর যদি কষ্ট করে এতদূর না আসতে চান তবে কিছুদিন অপেক্ষা করুন৷ সে তার গান দিয়ে আপনাদের হৃদয়ের অন্দরে পৌঁছে যাবে৷''

বহুমুখী এ প্রতিভা যাতে হারিয়ে না যায়, সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ করে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷

এডিকে/এসিবি