1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মে যাচ্ছেন ৭ জুনে

২৪ মে ২০১৯

ব্রেক্সিট নিয়ে বিরোধের জেরে আর গদি টেকাতে পারলেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷ আগামী ৭ জুন পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3J0qn
ছবি: Reuters/T. Melville

শুক্রবার আবেগধর্মী এক বক্তৃতায় কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন মে৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের পরপরই হবে তাঁর পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা৷

বক্তৃতায় ব্রেক্সিট সফল করতে না পারায় ‘গভীর অনুতাপ’ প্রকাশ করেন মে৷ কনজারভেটিভ পার্টির ‘১৯২২ কমিটির’ প্রধান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে সাক্ষাতের পর পদত্যাগের দিনক্ষণ ঠিক করে ওই বক্তব্য দেন তিনি৷

‘‘আমাদের দেশের অসীম পরিবর্তনের আহ্বান ছিল ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের মধ্যে৷ আমি মানুষের ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়েছিলাম,’’ বক্তৃতায় বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘‘আমি দেশের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু শেষ নই৷ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন, নিজের প্রিয় দেশের জন্য কাজ করতে পারা৷’’

সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন নিয়ে তৃতীয়বারের চেষ্টাও ব্যর্থ হওয়ার প্রেক্ষাপটে পদত্যাগের জন্য চাপের মুখে ছিলেন টেরেসা মে৷ পরবর্তী উত্তরাধিকার আসার আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে হবে তাঁকে৷

টেরেসা মে'র পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ‘‘পদত্যাগ করে সঠিক কাজটি করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এতদিন পর তিনি এমন একটা বিষয় গ্রহণ করলেন, যা পুরো দেশ গত কয়েক মাস ধরে জানতো: তিনি আর দেশ শাসন করতে পারেন না, এবং দেশ শাসন করতে পারে না তাঁর বহুধাবিভক্ত দলও৷’’

কট্টরপন্থি নেতা বরিস জনসন বলেছেন, ‘‘কনজারভেটিভ দলের নতুন নেতার দায়িত্ব হবে দলকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং সঠিক নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দেওয়া৷ তাঁর দায়িত্ব হবে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উৎকৃষ্ট পন্থা বের করা৷ এখন আমাদের ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন এবং দলে ও দেশের বিভক্তি দূর প্রয়োজন৷’’

ব্রেক্সিট নিয়ে বিরোধের জেরে ব্রিটেনে দ্বিতীয় একজন প্রধানমন্ত্রী পদ খোয়াচ্ছেন৷ এর আগে ২০১৬ সালের গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় আসার পরপরই পদত্যাগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷

ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের পর ১০ জুন থেকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনের কাজ শুরু হবে৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ট্রাম্পের সফরের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন মে৷

প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌঁড়ে এগিয়ে জনসন

সর্বশেষ মতামত জরিপে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন কট্টরপন্থি নেতা বরিস জনসন৷ যিনি ইতোমধ্যে এই পদে আসার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন৷

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে আছেন সাবেক ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডমিনিক রাব৷ এই দুজনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে দ্বিতীয়বারের মতো লড়বেন এন্ড্রিয়া লিডসম৷

এর আগে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মে-র সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও সফল হননি লিডসম৷

তাঁদের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, সাবেক ইউরোপ মন্ত্রী ডেভিড লিডিংটন এবং দলের নেতা মাইকেল গোভও আছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে৷

এমবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, বিবিসি)