1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোটা মহিলাদের সন্তান

১৬ আগস্ট ২০১৩

স্কটল্যান্ডে করা একটি জরিপ থেকে গবেষকরা দেখেছেন, মোটা মহিলাদের সন্তানদের ৫৫ বছর বয়স হওয়ার আগে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ বেশি৷ এছাড়া তাদের হৃদরোগ হবার সম্ভাবনাও ৪২ শতাংশ বেশি৷

https://p.dw.com/p/19QSS
ছবি: PA/dpa

জরিপটা করা হয়েছিল ১৯৫০ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে জন্ম, এমন ৩৭ হাজার ৭০৯ জন ‘ছেলেমেয়েকে' নিয়ে৷ সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে সেই সব ছেলেমেয়েদের জন্ম দিয়েছিলেন, এমন ২৮ হাজার ৫৪০ জন মায়ের তথ্য৷ ব্রিটিশ মেডিকাল জার্নালের অনলাইন সংস্করণ বিএমজে ডট কম-এ জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হবার সময় জরিপে করা ‘ছেলেমেয়েদের' বয়স দাঁড়িয়েছিল ৩৪ থেকে ৬১-র মধ্যে৷ যে ৬ হাজার ৫৫১ জন ‘ছেলেমেয়ে' জরিপ শুরু হওয়ার আগেই মারা যান, তাদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করেন গবেষকরা৷

মায়েদের মধ্যে ২১ শতাংশের ছিল মাত্রাধিক ওজন – অর্থাৎ তাদের বডি-মাস-ইনডেক্স বা বিএমআই ছিল ২৫ থেকে ২৯ দশমিক ৯-এর মধ্যে৷ বিএমআই বলতে উচ্চতার তুলনায় ওজনের অনুপাত বোঝায়৷ মায়েদের চার শতাংশ ছিলেন ‘ওবেস' বা ভীষণ মোটা: যাদের বিএমআই ৩০ কিংবা তার ঊর্ধ্বে৷ এ সবই সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের ওজন৷

জরিপে দেখা যায়, ভীষণ মোটা মায়েদের সন্তানদের ৫৫ বছর বয়স হওয়ার আগে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল সাধারণ মায়েদের সন্তানদের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি৷ এমনকি শুধুমাত্র মোটা মায়েদের সন্তানদের ঝুঁকিও ১১ শতাংশ বেশি৷ এছাড়া ভীষণ মোটা মায়েদের ছেলেমেয়েদের কালে হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ বেশি৷

অজাত শিশু মাতৃশরীরে যে পরিবেশে থাকে, তার স্বাস্থ্য ও আয়ুর উপর তার স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে – জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে৷ এ গুলি এমন সব শারীরিক পরিবর্তন, যা সারা জীবন বজায় থাকে, যেমন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ কিংবা মেটাবলিজম-এর মতো শারীরিক প্রক্রিয়া৷ অবশ্য মায়ের মোটা হওয়াকেই নিশ্চিত করে একমাত্র কারণ বলা চলে না, কেননা বেশি খাওয়াদাওয়া, কম হাঁটাচলা এবং স্রেফ বংশগত কারণেও জরিপের ‘ছেলেমেয়েদের' স্বাস্থ্যের হানি ঘটে থাকতে পারে – অন্তত এই জরিপ থেকে সে সম্ভাবনা একেবারে বাদ দেওয়া চলে না৷

তা সত্ত্বেও সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগে মায়ের ওজন কমানোর বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত বলে গবেষকদের ধারণা৷ বিশেষ করে যখন যুক্তরাজ্যে সন্তানসম্ভবা মায়েদের পাঁচজনের মধ্যে একজন ভীষণ মোটা বলে গণ্য৷ সেই সঙ্গে প্রয়োজন মোটা মায়েদের সন্তানদের গোড়া থেকেই খাওয়া-দাওয়া, ডায়েট সম্পর্কে সচেতন করে দেওয়া৷ এছাড়া এই গোত্রীয় মানুষদের উচ্চ রক্তচাপ, ব্লাড সুগার, ব্লাড ফ্যাট ও ধূমপান ইত্যাদির বিপদ সম্পর্কে সাবধান করে দেওয়া উচিত – বলেছেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেটাবলিক মেডিসিনের অধ্যাপক রেবেকা রেনল্ডস, যিনি জরিপের ফলাফল সংক্রান্ত লেখাটির দুই রচয়িতার একজন৷

জরিপটি যে সব মায়েদের নিয়ে করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র চার শতাংশ ছিলেন ওবেস বা ভীষণ মোটা৷ সে যাবৎ সারা বিশ্বে মোটা এবং ভীষণ মোটা মানুষদের – ও মায়েদের – সংখ্যা অনেক বেড়েছে: বিপদটা সেখানেই৷ অপরদিকে এও সম্ভব যে, মোটা মায়েদের ছেলেমেয়েদের নিজেদেরই মোটা হবার প্রবণতা থাকে এবং সেই কারণেই হয়তো তাদের হৃদরোগ ইত্যাদি হয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷

তবে খোদ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতো চুলচেরা হিসেবে না গিয়েও বলা যায়: মা যদি মোটা হন, তাহলে তার দাম দিতে হয় সন্তানকে৷ সেটাই হল মোদ্দা কথা৷

এসি / এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য