1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোবাইলের আর ক্যান্সার, উত্তর মেলে নি

১৭ মে ২০১০

মোবাইল ফোন মস্তিষ্কে ক্যান্সারের কারণ কিনা সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হল না৷ তবে, বেশি বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করাটা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷

https://p.dw.com/p/NPb3
ছবি: AP

মোবাইলে বেশি কথা বললে কী সত্যিই মস্তিষ্কে ক্যান্সার হয়? দেখা দেয় ব্রেন টিউমার? এ জাতীয় একটি প্রশ্ন বহুদিন ধরেই আধুনিক মানুষের মনে এবং আলোচনায় স্থান পায়৷ এর রহস্য জানতে এবং নিজেদের ব্যবসা সুনিশ্চিত করতে গবেষকদের দিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছিল মোবাইল নির্মাতা সংস্থাগুলি৷ পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছেই সেই আর্জি জানায় তারা৷ এরপর দশ বছর ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের এই গবেষণা চালিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ বলা হচ্ছে, এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এই গবেষণায় ফলাফল অমীমাংসিত৷ মানে, মোবাইলের ব্যবহার ক্যান্সার সৃষ্টি করতেও পারে, আবার নাও পারে৷

বিভিন্ন রকমের ফলাফল মিলেছে গবেষণা আর সমীক্ষার পর৷ ক্ষেত্রবিশেষে দেখা গেছে, যারা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে মোবাইলে অনর্গল কথা বলে, তাদের ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমারের খানিক সম্ভাবনা থেকেই যায়৷ আর যাদের ইতিমধ্যেই ব্রেন টিউমার রয়েছে, তেমন মোবাইল ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তাদের অসুস্থতা বাড়ছে কোন কোন ক্ষেত্রে৷ গবেষণায় এমন মিশ্র ফলাফল পেয়েই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই গবেষণার প্রধান এলিজাবেথ কারডিস সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, মোবাইল বিপদজনক একথাটা আমরা বলতে পারছিনা, আবার বিপদজনক নয় একথাও বলা মুশকিল৷ কারণ, আমরা দু'রকম ফলাফলই পেয়েছি৷

Sadhu mit Handy Flash-Galerie
সংসারত্যাগী সাধুও মোবাইলের মায়ায় মুগ্ধছবি: picture-alliance / dpa

এখানে আবার অনেকগুলো ছোটখাটো খটকা আছে৷ বলে দেওয়া যাক সেগুলো৷ গোড়াতেই বলেছি, এই গবেষণা চালু করেছিল মোবাইল ফোন নির্মাতা সংস্থাগুলি৷ পরে সেই দায়িত্ব হাতে নিয়ে নেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ কিন্তু, এত দীর্ঘমেয়াদী এবং ব্যয়সাপেক্ষ গবেষণার জন্য পঁচিশ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করেছে মোবাইল নির্মাতা বিভিন্ন সংস্থা ভাগাভাগি করে৷ ফলে গবেষণা যে সর্বার্থে জনস্বার্থে হয়েছে তা কিন্তু নাও হতে পারে৷ কারণ, মোবাইল বেশি ব্যবহার করলে ক্যান্সার হয় এই যদি গবেষণার ফলাফল হয়, তাহলে তো মোবাইলের ব্যবসাই মাটি!

সুতরাং, ফলাফল কী বা কেমন সেদিকে না তাকিয়ে বরং গবেষকদের পরামর্শ, কোনকিছুই বেশি বেশি ভালো নয়৷ তাই, মোবাইল ব্যবহার করুন কিন্তু করুন যতটুকু না হলে নয়, সেটুকুই৷ তাতে শরীর তো ভালো থাকবেই, পকেটের পয়সাও কিন্তু সাশ্রয় হবে৷ সেদিকটাও ভুলে গেলে চলবে না৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : রিয়াজুল ইসলাম