1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোবাইল ফোনের ব্যবহার ক্যানসারের কারণ হতে পারে: ডাব্লুএইচও

১ জুন ২০১১

এতদিন ধরে অনেকেই এই দাবি করে আসছিল৷ এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বললেন, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মস্তিষ্কে ক্যানসার হওয়ার যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে৷ তবে এই দাবির সপক্ষে কোনো অকাট্য প্রমাণ এখনো পাওয়া যায় নি৷

https://p.dw.com/p/11S33
কানে মোবাইল ফোন ঠেকিয়ে যারা বেশি কথা বলেন, তাদেরই ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছেছবি: CC / ario_

ফ্রান্সের লিয়ঁ শহরে আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা – আইএআরসি'র ৮ দিনের সম্মেলনের শেষে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে৷ গত প্রায় এক দশক ধরে চালানো বিভিন্ন সমীক্ষার মধ্যে দু'টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন ১৪টি দেশের ৩১ জন বিশেষজ্ঞ৷ যারা এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, তাদের একাংশ গত এক দশকে প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট মোবাইল ফোন কানে ঠেকিয়ে কথা বলেছেন৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানে মোবাইল ফোন ঠেকিয়ে যারা বেশি কথা বলেন, তাদের মস্তিষ্কে ‘গিলোমা' নামের এক ধরণের ম্যালিগনেন্ট ক্যানসার এবং ‘অ্যাকুস্টিক নিউরোমা' নামের আরেক ধরণের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়৷ ক্যানসার গবেষণা সংস্থার বিশেষজ্ঞরা গোটা বিষয়টির সার্বিক দিক তুলে ধরেছেন৷ তাঁরা বলেছেন, সমীক্ষার মাধ্যমে শুধু ঝুঁকির মাত্রা বাড়ার বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে৷ ওয়্যারলেস বা তারহীন কোনো যন্ত্রের ব্যবহারের সঙ্গে ক্যানসারের সরাসরি যোগাযোগের অকাট্য কোনো প্রমাণ কিন্তু এখনো পাওয়া যায় নি৷ এক্ষেত্রে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে৷ সারা জীবন বা দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তার পরিণাম কী হতে পারে, সেবিষয়েও কোনো স্পষ্ট ধারণা মানুষের নেই৷ উল্লেখ্য, এক বছর আগে আইএআরসি'র রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, যে মোবাইল ফোনের সঙ্গে ক্যানসারের কোনো সম্পর্কই নেই৷ তবে পুরানো তথ্যের ভিত্তিতে চালানো এই সমীক্ষার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল৷ আইএআরসি ক্যানসারের সম্ভাব্য উৎসগুলিকে ঝুঁকি অনুযায়ী তিন ভাগে ভাগ করে – ‘হয়তো কার্সিনোজেনিক', ‘সম্ভাব্য কার্সিনোজেনিক' এবং ‘হয়তো কার্সিনোজেনিক নয়'৷ সিগারেট বা অ্যাসবেস্টসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ মোবাইল ফোনকে এবার ‘গ্রুপ টুবি'তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে আরও রয়েছে পেট্রোলিয়ামের ধোঁয়া ও গ্লাস উল নামের ফাইবার গ্লাসের তৈরি এক ধরণের ইনসুলেশন৷

Flash-Galerie Rauchen und Gesundheit
সিগারেট বা অ্যাসবেস্টসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ছবি: AP

বর্তমানে গোটা বিশ্বে ৫০০ কোটিরও বেশি মোবাইল ফোন নথিভুক্ত রয়েছে৷ গত কয়েক বছর ধরে ফোনের সংখ্যা ও মাথাপিছু ফোন ব্যবহারের সময় বেড়ে চলেছে৷ মোবাইল ফোন ছাড়া আজকের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা কল্পনা করাই কঠিন৷ এই অবস্থায় ঝুঁকি এড়াতে সাধারণ মানুষের কী করা উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন – তবে কিছু অভ্যাস বদলান৷ যেমন সবসময়ে ফোন কানে ঠেকিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই৷ আজকাল স্পিকার বা হেডফোনের মাধ্যমেও কথা বলা যায়৷ তেমন প্রয়োজন না পড়লে ফোন করার বদলে বোতাম টিপে এসএমএস বার্তা পাঠান৷ সেক্ষেত্রে মস্তিষ্ক মোবাইল ফোনের কোনো ক্ষতিকারক বিকিরণ থেকে দূরে থাকবে৷ ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমে যাবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক