1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৌখিক আশ্বাসেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে গ্রিসকে

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১০

আর্থিক মন্দায় বিপর্যস্ত গ্রিসকে শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মৌখিক আশ্বাসেই সন্তুষ্ট থাকতে হল৷ বৃহস্পতিবার ইইউর দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ ব্রাসেলসে বৈঠক করলেও তাতে কোন সুনির্দিষ্ট বক্তব্য আসেনি৷

https://p.dw.com/p/LzHg
ব্রাসেলসে ইইউ নেতৃবৃন্দছবি: AP

নেতৃবৃন্দের শুকনো কথা

বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি সহ ইইউর বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ৷ কিন্তু তাদের আলাপ আলোচনা শেষে ইইউর বর্তমান সভাপতি যে বক্তব্য দিলেন তাতে গ্রিসের নাগরিকরা হতাশ হয়েছেন৷ ইইউর বর্তমান সভাপতি হেরমান ফন রম্পুই বলেন, ‘চলতি বছরের জন্য গ্রিসের সরকার যে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা পূরণের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগে সহায়তা করবো৷ বাজেট ঘাটতি এই বছরে ৪ শতাংশ কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য আমরা গ্রিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷' অর্থাৎ কেবল পাশে থাকার মৌখিক আশ্বাস পর্যন্তই থেকেছে ইইউ সভাপতির বক্তব্য৷

EU Herman Van Rompuy Brüssel Griechenland Finanzkrise
ইইউ-র সভাপতি হেরমান ফন রম্পুইছবি: AP

একইসঙ্গে অনেকেই মনে করেছিলেন, ইউরোপ তার সমস্যা সমাধানে নিজেরাই উদ্যোগী হবে৷ এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলকে ডেকে আনার মত কাজ তারা করবে না৷ কিন্তু গ্রিসের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে আইএমএফ এর প্রস্তাব অনুযায়ী, সে কথাও জানিয়েছেন ফন রম্পুই৷ তিনি বলেন, ‘আইএমএফ এর বিশেষজ্ঞরা যে ছক এঁকে দেবেন তার ওপর ভিত্তি করেই বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব আমরা দেবো৷ প্রথম যাচাই বাছাই হবে মার্চ মাসে৷ ইউরোজোনের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সদস্য দেশগুলো সমন্বিত উদ্যোগ নেবে৷ গ্রিক সরকার কোন আর্থিক সমর্থনের জন্য অনুরোধ জানায়নি৷'

দলীয় মতানৈক্যের ফলে সিদ্ধান্তহীনতা

যদিও গ্রিক সরকার কোন আর্থিক অনুদান মুখে চায়নি, তবুও ব্রাসেলসের আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে এসেছিল বলে জানা গেছে বিভিন্ন বার্তা মাধ্যমের খবর থেকে৷ জার্মানির সরকারী ব্যাংক গ্রিসের বন্ড কিনে নেবে এমন বিষয় নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ কিন্তু দেশগুলোর ক্ষমতাসীন দলের ভেতর মতানৈক্যের কারণেই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি৷

এদিকে গ্রিসের সংকটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউরোর দাম কমছেই৷ বৃহস্পতিবারও ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম কমে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷ অন্যদিকে ক্রমেই ইউরোর বিপরীতে সুবিধা করে নিচ্ছে মার্কিন ডলার৷

প্রতিবেদক রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা সাগর সরওয়ার