1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যাচ-ফিক্সিং রুখতে তৎপরতা বাড়াচ্ছে ফিফা

১৯ মে ২০১১

ফুটবল ম্যাচকে ঘিরে বে-আইনি জুয়াখেলার মাধ্যমে বছরে প্রায় ৯,০০০ কোটি ডলার হাতবদল হয় বলে মনে করে ফিফা৷ বৈধভাবে বাজি রাখার ক্ষেত্রেও অবশ্য অঙ্কটা প্রায় সমান৷

https://p.dw.com/p/11JVl
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠন ‘ইন্টারপোল'এর সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ করবে ফিফা দুর্নীতি দমন দপ্তরছবি: picture-alliance/ chromeorange/ DW-Fotomontage

ফিফার সুরক্ষা বিভাগের প্রধান ক্রিস ইটন ফুটবলের ক্ষেত্রে এই দুর্নীতি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর৷ বিশেষ করে ম্যাচের ফলাফল আগে থেকেই স্থির করতে প্রায়ই যেভাবে ‘ম্যাচ-ফিক্সিং' করা হয়ে থাকে, তার মোকাবিলা করতে নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে ফিফা৷ সংগঠনের প্রধান সেপ ব্লাটার সিঙ্গাপুরে আলাদা এক দুর্নীতি দমন দপ্তর চালু করার জন্য প্রায় ২ কোটি ইউরো অঙ্গীকার করেছেন৷

ইটন বলেন, গোটা বিশ্বে অপরাধ চক্র অত্যন্ত বিশাল মাত্রায় এবং সুপরিকল্পিতভাবে ম্যাচ-ফিক্সিং করে চলেছে৷ কিন্তু এই সব অপরাধীরা আসলে খেলোয়াড়দেরই ক্ষতি করছে এবং তাদের কর্মজীবন নষ্ট করে দিচ্ছে৷ ফুটবলের যে সুনাম রয়েছে, তা এভাবে নষ্ট হতে দেওয়া যায় না, বলেন ইটন৷

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠন ‘ইন্টারপোল'এর সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ করবে ফিফা দুর্নীতি দমন দপ্তর৷ এর আওতায় ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা, প্রশাসক ও খেলোয়াড়দের জন্য কর্মসূচি তৈরি করা হবে, যাতে তাঁরা এই অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন৷ ম্যাচ-ফিক্সিং'এর ফলে গোটা ফুটবল জগত এবং তাঁদের নিজেদের কেরিয়ার কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সেবিষয়েও তাঁদের বিস্তারিতভাবে জানানো হবে৷ তাছাড়া প্রতিটি প্রতিযোগিতার আগে ও পরে ইন্টারপোলের প্রতিনিধিরা খেলোয়াড়দের ম্যাচ-ফিক্সিং সম্পর্কে সাবধান করে দেবেন, যাতে তাঁরা এর পরিণতি সম্পর্কে সব সময়ে সচেতন থাকেন৷

ফিফার সুরক্ষা বিভাগের প্রধান ক্রিস ইটন অবশ্য জানিয়েছেন, এই ইউনিট সরাসরি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না, কারণ এই ধরণের কাজ কোনো ক্রীড়া সংগঠনের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক