1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের উত্তরসূরি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

একের পর এক টেলিভিশন বিতর্ক সত্ত্বেও জনমত সমীক্ষায় কোনো দলের স্পষ্ট জয়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে না৷ ফলে ২৬শে সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পর জোট সরকারের রূপরেখাও স্পষ্ট হচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/40mhI
Bundestagswahl 2021 3. TV-Triell Kandidaten
ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance

জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের তিন দিন আগে এই প্রথম সব প্রধান দলের নেতারা টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হলেন৷ সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগে উপস্থিত দলের নেতারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন প্রশ্নে নিজস্ব অবস্থান এবং নির্বাচনের পর পছন্দের জোট নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরলেন৷ তিন প্রধান দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর তিনটি টেলিভিশন বিতর্কের পর এটাই ছিল টেলিভিশনের পর্দায় ভোটারদের মন জয় করার শেষ সুযোগ৷ ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে এর আগে কখনো নির্বাচনের আগে প্রধান দলগুলির প্রতিনিধিরা টেলিভিশনে নিজস্ব অবস্থান তুলে ধরার এত সুযোগ পাননি৷

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের প্রচার-প্রচারণা সত্ত্বেও জার্মানিতে এবারের নির্বাচনের ফল সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে না৷ জনমত সমীক্ষায় সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি ও রক্ষণশীল ইউনিয়ন শিবিরের মধ্যে ফারাক অতি সামান্য৷ অতীতে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর এমন সমীক্ষার ইঙ্গিত বারবার ভুল প্রমাণিত হয়েছে৷ তাছাড়া এবার সমীক্ষার প্রশ্নের জবাবে অনেকেই জানিয়েছেন যে, তারা এখনো মনস্থির করে উঠতে পারেননি৷ রেকর্ড মাত্রা পোস্টাল ব্যালটও সব হিসাব গোলমাল করে দিতে পারে৷

বৃহস্পতিবারের টেলিভিশন বিতর্কে উপস্থিত শীর্ষ নেতারানিজেদের অবস্থানের মধ্যে পার্থক্য আরো জোরালোভাবে তুলে ধরে অবশিষ্ট ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করলেন৷

তাছাড়া রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্দিষ্ট জোট গড়লে তার পরিণাম কী হবে, সে বিষয়েও সতর্ক করে দিলেন৷ এই প্রথম কোনো বিতর্কে পররাষ্ট্র, প্রতিপক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয় যথেষ্ট গুরুত্ব পেল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত দেশ জার্মানির ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়েও শীর্ষ নেতারা নিজেদের অবস্থান জানালেন৷

এমন প্রেক্ষাপটে রবিবারের নির্বাচনের ফলাফল ও তারপর সম্ভাব্য জোট সরকার গড়ার উদ্যোগ নিয়ে জল্পনাকল্পনা বাড়ছে৷ এসপিডি প্রার্থী ওলাফ শলৎস ও ইউনিয়ন শিবিরের প্রার্থী আরমিন লাশেটের হাতে সংসদের আসনসংখ্যার মধ্যে ফারাক যদি সত্যি খুব কম হয়, সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষই সমান্তরালভাবে সরকার গড়ার লক্ষ্যে বাকিদের সঙ্গে আলোচনা চালাতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ১৯৭৬ সালে এমন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় শক্তিশালী শিবির হিসেবে এসপিডি দলের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছিল৷ জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস সত্য প্রমাণিত হলে দুইয়ের বদলে তিনটি দলের জোট অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে৷ ১৯৪৯ সালে ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্র গঠনের পর তিন বছর এমন সরকার ক্ষমতায় ছিল৷ তার পর থেকে কখনো এমন তিন দলের সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়নি৷

উদারপন্থি এফডিপি দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার বৃহস্পতিবার আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী দুই প্রধান শিবিরই এবার ভোটারদের ৭০ শতাংশের কম সমর্থন পাচ্ছে৷ এমন দুর্বল অবস্থানে থেকে তাদের পক্ষে সরকার গড়ার উদ্যোগ নিতে হবে৷ উল্লেখ্য, সর্বশেষ এক সমীক্ষা অনুযায়ী এসপিডি দল ২৫ ও ইউনিয়ন শিবির ২৩ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছে৷ ফলে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বিদায়ের পর কে জার্মানির হাল ধরবেন, নির্বাচনের দুই-তিন দিন আগেও তা স্পষ্ট নয়৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)