1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের গদিতে কে বসবেন?

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

২০২১ সালে জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের আগে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সম্ভাব্য উত্তরসূরি খোঁজার উদ্যোগ আবার নতুন করে শুরু করতে হবে৷ দেশের রাজনীতির কঠিন সময়ে এমন সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3XZy3
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken

চতুর্থ বারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর হয়ে আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে যাকে তুলে ধরেছিলেন, সেই আনেগ্রেট কাম্প-কারেনবাউয়ার সোমবার হাল ছেড়ে দিলেন৷ ফলে দলের নেতা ও সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চ্যান্সেলর কে হবেন, সেই প্রশ্ন আবার সামনে চলে এলো৷ জার্মানির রাজনীতির উত্তাল সময়ে সবচেয়ে বড় দলের মধ্যে এই সংকট বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে৷ সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের মধ্যে লাগাতার সংকটের পর সিডিইউ দলের মধ্যে অন্তর্কলহ ও নেতৃত্বের শূন্যতা জার্মানির দলীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে৷

জার্মানির পূর্বাঞ্চলে টুরিঙ্গিয়া রাজ্যের নির্বাচনের পর সিডিইউ দলের মধ্যে সংকট আরও জোরালো করে তুলেছে৷ দলের প্রধান হিসেবে কাম্প-কারেনবাউয়ার নিজের কর্তৃত্ব কতটা খুইয়েছেন, টুরিঙ্গিয়ার রাজ্য শাখা তা স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ হাই কমান্ডের নির্দেশ অমান্য করে চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের সঙ্গে সহযোগিতা, এমনকি প্রয়োজনে বামপন্থি দলের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রস্তাব দিয়ে দলের ঐক্যে চিড় ধরিয়েছে৷

ম্যার্কেলের দলের মধ্যে সাম্প্রতিক কালে বিভাজনের আরও দৃষ্টান্ত দেখা গেছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে কাম্প-কারেনবাউয়ার বলেন, কর্তৃত্বের খাতিরে দলের নেতা ও চ্যান্সেলর পদে একই ব্যক্তি থাকা উচিত৷ অর্থাৎ তাঁর মতে, বর্তমান পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে৷ যত দ্রুত সম্ভব নেতার পদ ছেড়ে দিলেও ম্যার্কেলের অনুরোধে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে চান তিনি৷

২০২১ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে সিডিইউ দলকে নেতৃত্ব ও চ্যান্সেলর পদপ্রার্থীর প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ সোমবার কোনো নেতা সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে না এলেও কয়েকজনের নাম নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে৷ কাম্প-কারেনবাউয়ার দলের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হবার ঠিক আগে যে দুই নেতা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন, তাঁরা আবার সেই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন৷ অতীতের নেতা ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস ও বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান আবার আসরে নামবেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আর্মিন লাশেটকে ঘিরেও প্রত্যাশা তৈরি হচ্ছে৷ তবে এই তিন জনই একই রাজ্য শাখার প্রতিনিধি হওয়ায় দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে৷ বাভেরিয়ার বর্তমান মূখ্যমন্ত্রী ও সহযোগী সিএসইউ দলের নেতা মার্কুস স্যোডার ইউনিয়ন শিবিরের যৌথ চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হতে পারেন, এমন সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক আঙিনায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আস্থা ও মর্যাদার যে জায়গা ম্যার্কেল তৈরি করেছেন, সেই শূন্যস্থান পূরণ করা যে অত্যন্ত কঠিন হবে, সে বিষয়ে জার্মানির যে কোনো রাজনৈতিক নেতাই সচেতন৷ তবে দীর্ঘদিনের মহাজোট সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে ও অনেক বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান না নিয়ে ম্যার্কেল সার্বিকভাবে নিজের দল ও জার্মান রাজনীতির ক্ষতি করেছেন বলেও অভিযোগ উঠছে৷ বিশেষ করে চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের বাড়বাড়ন্তের জন্য অনেকে তাঁকেই পরোক্ষভাবে দায়ী করছেন৷ সিডিইউ দলের মধ্যে বর্তমান সংকটের ফলেও এএফডি লাভবান হবে বলেও আশঙ্কা বাড়ছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)