1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন জার্মান কমেডিয়ান

৩ এপ্রিল ২০১৯

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দেশটির একজন স্যাটায়ার রচয়িতা৷ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানকে নিয়ে লেখা ব্যাঙ্গোক্তিমূলক একটি কবিতার সমালোচনা করায় মামলা করেন ইয়ান ব্যোমারমান৷

https://p.dw.com/p/3G9ID

২০১৬ সালে জার্মানির সরকারি জেডডিএফ টেলিভিশনে এরদোয়ানকে নিয়ে রচিত ঐ কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন ব্যোমারমান৷ সে সময় এ কবিতাটি ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে মন্তব্য করেছিলেন ম্যার্কেল৷ যদিও পরে তিনি তাঁর ‘ভুল' স্বীকার করে নিয়েছিলেন৷

কবিতাটির জের ধরে জার্মানি ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল৷ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ব্যোমারমানের বিরুদ্ধে তদন্তও করেছিল জার্মান সরকার৷ 

বার্লিনের আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ব্যোমারমান আদালতের কাছে দুটি বিষয়ে নির্দেশনা চেয়েছেন৷ একটি হলো, ম্যার্কেলকে প্রকাশ্যে কবিতাটির রাজনৈতিক সমালোচনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া৷ অপরটি হচ্ছে, যদি আদালত ম্যার্কেলকে কবিতাটির সমালোচনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ না দেয় তাহলে ম্যার্কেলের সমালোচনাকে বেআইনি বলে ঘোষণা দেওয়া৷

আগামী ১৬ তারিখে আদালতে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে৷ মামলার শুনানিতে ম্যার্কেল স্বশরীরে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানানো হয়েছে৷ একজন আইনজীবী আদালতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে ডিপিএ জানায়৷

কী ছিল কবিতাটিতে

২০১৬ সালের মার্চ মাসে জেডডিএএফ চ্যানেলের ‘নিউ ম্যাগাজিন রয়্যাল' নামে এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ানকে নিয়ে একটি কবিতা আবৃতি করেন ব্যোমারমান৷ কবিতাটিতে এরদোয়ান ‘শিশু পর্নোগ্রাফি দেখেছেন এবং প্রাণীদের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছেন' বলে দাবি করা হয়েছিল৷ ঘটনার জেরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে তদন্ত করতে জার্মান সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন৷ জার্মান সরকার কবিতাটির কিছু অংশ নিষিদ্ধ করেছিল৷

কী বলেছিলেন ম্যার্কেল?

টেলিভিশন অনুষ্ঠানের পর ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফেন সাইব্যার্ট সেইসময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, আঙ্গেলা ম্যার্কেল মনে করেন, কবিতাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ তবে পরে তিনি তাঁর এ মন্তব্য ‘ভুল' বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন৷

আরআর/জেডএইচ (ডিপিএ, এএফপি)