1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার করা যাচ্ছেনা নিখোঁজ ৪০ যাত্রীকে

১১ অক্টোবর ২০১০

তুরাগ নদীর তলদেশে বাস সনাক্ত করা গেলেও উদ্ধার করা যায়নি৷ উদ্ধার করা যায়নি নিখোঁজ ৪০ যাত্রীর মরদেহ৷ নিখোঁজ যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনের শোক এখন ক্ষোভে রূপ নিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/PbXa
বাংলার নদীর প্রবল স্রোতের সামনে মানুষ অসহায়ছবি: DW

স্যোনার যন্ত্র ব্যবহার করে সোমবার দুপুরে তুরাগ নদীর তলদেশে বাসটির অবস্থান নিশ্চিত করে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল৷ কিন্তু বাসটি তারা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হচ্ছেন৷ এজন্য রেকার প্রয়োজন৷ প্রয়োজন হলেও সেই রেকার এসে পৌছায়নি৷ পৌঁছায়নি উদ্ধারকারী জাহাজ৷ আর এতে অধৈর্য হয়ে পড়ছেন নিখোজ যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজন৷ তারা উদ্ধার অভিযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ অনেক শোকার্ত মানুষ প্রিয়জনের লাশের জন্য দুই দিন ধরে তুরাগের তীরে আছেন৷

উদ্ধার কর্মীরা জানান, তুরাগ নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে তারা লাশ উদ্ধার করতে পারছেন না৷ আর প্রচলিত যন্ত্রপাতি দিয়ে বাসটিও উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছেনা৷ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুও অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন৷ তিনি জানান, এধরনের বড় দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই, যা দুর্ভাগ্যজনক৷ তিনি বলেন উদ্ধারকারীরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে বাস ও নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধার করতে৷

ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বৈশাখী পরিবহনের বাসটির সামনের একটি চাকা ফেটে যায় রোববার দুপুর ১২টার দিকে আমিনবাজারে সালেহপুর ব্রীজে ওঠার সময়৷ এরপর মুহূর্তের মধ্যে ছিটকে পড়ে তুরাগ নদীতে৷ বাসটিতে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন৷ ২৬ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুরে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল স্যোনার যন্ত্রের সহায়তায় বাসটির সন্ধান পায় আমিনবাজারে সালেহপুর ব্রীজের ৫০ ফুট দূরে তুরাগ নদীর পানির নীচে৷

প্রথমদিনই উদ্ধার করা হয় ১০ জনকে৷ তবে এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়৷ আর সোমবার বাসটি সনাক্ত করার পর আরো একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক