1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের চাকরি এবং জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তা

২৫ মে ২০২০

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অফিস-আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে। কিন্তু কর্মীদের মধ্যে জীবন এবং চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে।

https://p.dw.com/p/3cjFE
স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব উদ্যোগ না নিয়ে লকডাউন তুলে দিলে কী হতে পারে এই প্রশ্নটা তাই বড় হয়ে উঠছে কর্মীদের মন
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Dovarganes

'অ্যারাইজ শিকাগো' নামের প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে কর্মজীবীদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে।

তাদের কর্মী শেলি রুসিকা জানালেন, গত কিছুদিন ধরে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৬০টি করে অভিযোগ পাচ্ছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাত্র ছয় দশমিক দুই ভাগ কর্মী ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য। ফলে মালিকপক্ষ বড় একটা অংশের  কর্মীদের প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। করোনা সংকটেও তাই কর্মীদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। লকডাউন উঠে গেলে কর্ম ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা, নিয়ম অনুযায়ী তারা পারিশ্রমিক পাবেন কিনা- এসব জানতে চেয়ে অনেকেই যোগাযোগ করছেন অ্যারাইজ শিকাগো-র মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে।

যুক্তরাষ্ট্রে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রয়েছে। সেসব দোকানে, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মী ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।

কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সতর্ক হতে শুরু করেছে বলে জানালেন শেলি রসিকা। তিনি জানান,  রেমুণ্ডো নামের একটি  খাদ্য সামগ্রির প্রতিষ্ঠানে ছয় জন কর্মী সংক্রমিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে

কিন্তু লকডাউন উঠে গেলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনা সঙ্কটের সময়ে কর্মীদের অধিকার আদায়ের দাবি আরো জোরালোভাবে উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে মেয দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে এ দাবি তুলে ধরেছে। টার্গেট, ওয়ালমার্ট-এর মতো প্রতিষ্ঠান অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। উবার এবং অন্যান্য রাইড শেয়ার কোম্পানির চালকরা প্রতিবাদ র্যালি বের করেছেন রাস্তায়। ফেডেক্স এবং অ্যামাজনের কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন।

কিন্তু এসবের বিপরীতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যক্ষ সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চলছে লকডাউন বিরোধী প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। অথচ এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর আসছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ১৯টি রাজ্যের ১১৫ টি মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের চার হাজার ৯১৩ জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, এ পর্যন্ত মারা গেছেন কমপক্ষে ২০ জন। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব উদ্যোগ না নিয়ে লকডাউন তুলে দিলে কী হতে পারে এই প্রশ্নটা তাই বড় হয়ে উঠছে কর্মীদের মনে।

ইউলিয়া মাহরিকে/এসিবি