1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের মতো ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা চালু করছে ইইউ

২৬ অক্টোবর ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউভুক্ত নয় এমন দেশের মানুষরা এই অঞ্চলে প্রবেশের সময় তাঁদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ৷ মূলত নিরাপত্তা জন্য হলেও কেউ কেউ মনে করছেন, এটি মানবাধিকারের উপর আঘাত৷

https://p.dw.com/p/2mXdM
Brüssel will EU-Außengrenzen abschotten - Plan für Fingerabdrücke
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Hase

মার্কিন নাগরিক নন এমন যাঁরা অ্যামেরিকা সফর করেছেন, তাঁরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত৷ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পরই বহিরাগতদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয় এবং একটি ছবি তুলে রাখা হয়৷ এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই জোটের সদস্য নয় এমন দেশ এবং মার্কিন নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই পন্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে৷ 

নতুন এই ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম (ইইএস)' নিয়ে ইইউ সংসদে বুধবার ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়৷ এতে এই পন্থার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন আইনপ্রণেতারা৷ নতুন এই ব্যবস্থায় সংগৃহীত বায়োমেট্রিক তথ্যের পাশাপাশি ভ্রমণকারীর অন্যান্য তথ্যও চার বছর মেয়াদে জমা করে রাখা হবে৷ আর এসব তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সীমান্ত নিয়ন্ত্রক ও ভিসা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ দেখতে পারবে৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং শেনজেনভুক্ত দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে না৷

ইইএস-এর সমর্থকরা মনে করেন, এই ব্যবস্থার কারণে অভিবাসন প্রক্রিয়া আরো ভালোভাবে কাজ করবে এবং কেউ ভিসার মেয়াদের বাইরে অতিরিক্ত সময় ইইউতে অবস্থান করছেন কিনা তা সহজে জানা যাবে৷ ইউরোপিয়ান পিপল'স পার্টি (ইপিপি)-র জার্মান সদস্য মনিকা হ্যোলমায়ার  এই বিষয়ে জানান যে, ইইএস ব্যবহার করে ইইউতে কে আছে এবং কার বেরিয়ে যেতে হবে, তা নির্ধারণ করা আরো সহজ হবে৷

ইউরোপিয়ান কমিশনের মাইগ্রেশন বিষয়ক কমিশনার দিমিত্রিস আভ্রামোপাউলোস মনে করেন, ঠিক কে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করছে, তা জানার দরকার আছে৷

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২০ সাল নাগাদ ইপিপি প্রয়োগ করা শুরু করা সম্ভব হবে৷ তার আগে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রধানদের অনুমতির প্রয়োজেন হবে৷ এই প্রকল্পের পেছনে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ৪৮০ মিলিয়ন ইউরো৷ তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খরচ দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে৷ আর গুটিকয়েক সন্দেহভাজনের জন্য সব মানুষের তথ্য এভাবে সংরক্ষণ অর্থহীন বলেও মনে করছেন ইইউ'র কয়েকজন আইনপ্রণেতা৷

এআই/এসিবি (ডিপিএ, এপি)