1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে ভয়াবহ বন্দুকহামলা

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বুধবার ফ্লোরিডার একটি স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয় অন্তত ১৭ জনের৷ নিহতদের অধিকাংশই ছাত্র৷ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ 

https://p.dw.com/p/2sjHZ
ছবি: picture-alliance

যুক্তরাষ্ট্রে আবার বন্দুকবাজের হামলা৷ আবার স্কুল৷ এবার ফ্লোরিডা৷

বুধবার ফ্লোরিডার একটি স্কুলে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ে এক প্রাক্তন ছাত্র৷ এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে৷ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের৷ নিহতদের অধিকাংশই স্কুলের ছাত্র৷ একাধিক ম্যাগাজিন এবং বন্দুকসহ আটক করা হয়েছে ওই বন্দুকবাজকে৷

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই বন্দুকবাজের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ঘেঁটে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, তার অতীত খুব স্বাভাবিক নয়৷ নানারকম পারিবারিক এবং সামাজিক সমস্যার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে৷ তবে সে মানসিক বিকারগ্রস্ত কিনা, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি৷ তবে সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তিও আগে ওই স্কুলের ছাত্র ছিল৷ কিছুদিন আগে নানা কারণে তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়৷ তারই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরে৷ মারজোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে ঘটনাটি ঘটে৷ মিয়ামি থেকে যার দূরত্ব ৭২ কিলোমিটার৷ স্কুলে তখন অনেক ছাত্র৷ আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে চালাতে স্কুলে ঢুকে পড়ে ওই ব্যক্তি৷ গুলিতে যখম হন ছাত্র এবং শিক্ষকেরা৷ স্কুলের ভিতরেই ১২ জনের মৃত্যু হয়৷ রাস্তায় মৃত্যু হয় আরো কয়েকজনের৷ আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় বাকিদের৷ সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৭৷ ঘটনার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুলের দরজা৷ নিরাপত্তরক্ষীরা একে একে বের করে আনতে থাকেন ছাত্রদের৷ ততক্ষণে বাইরে জড়ো হয়ে গিয়েছেন ছাত্রদের পরিজনেরা৷

ঘটনার পরেই টুইটে শোকবার্তা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের জন্য তিনি প্রার্থনা করছেন৷ আর যাতে অ্যামেরিকায় এমন ঘটনা না ঘটে,তার ব্যবস্থাও করা হবে৷ টুইট করেন এলাকার শেরিফও৷

জানা গেছে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নিকোলাস ক্রুজ৷ বয়স ১৯৷ পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে৷ পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গ্রেফতার করার সময় নিকোলাস কোনোরকম বাধা দেয়নি৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও করেনি৷

বন্দুকধারীর হামলায় প্রতি বছর অ্যামেরিকায় অন্তত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়৷ গত এক বছরে স্কুলে ঢুকে কোনো বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১৮টি৷ বিষয়টি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করতে না পারলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে৷

এসজি/এসিবি (রয়টার্স/ডিডাব্লিউ)