যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গুলির ঘটনায় মামলা ও তার পরিণতি
যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গুলির ঘটনায় বিভিন্ন সময় মামলা হয়েছে৷ এসব মামলার রায় কী হয়েছে, জানবো ছবিঘরে৷
কলম্বাইন হাইস্কুল, কলোরাডো, ১৯৯৯
দুই শিক্ষার্থীর হামলায় এক শিক্ষকসহ ১৩ জন নিহত হয়েছিল৷ এরপর স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়েছিল৷ কিন্তু সরকারি ইমিউনিটির কারণ দেখিয়ে প্রায় সবগুলোই খারিজ করে দেয়া হয়৷ শুধু পুলিশের বিরুদ্ধে নিহত শিক্ষকের মেয়ের করা মামলাটি চলেছিল৷
আপস
শিক্ষকের মেয়ের অভিযোগ ছিল, হামলাকারীদের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরও পুলিশ তার বাবার চিকিৎসা করতে চিকিৎসকদের সেখানে যেতে দেয়নি৷ মামলাটি সাড়ে ১৩ কোটি টাকায় রফা হয়েছিল৷ নিহতদের পরিবারেরাও দুই হামলাকারীর পরিবার ও হামলাকারীদের বন্দুক পেতে সহায়তা করা দুই ব্যক্তির সঙ্গে ২২ কোটি ৪০ লাখ টাকায় আপস করেছিল৷
রেড লেক সিনিয়র হাইস্কুল, মিনেসোটা, ২০০৫
সাবেক শিক্ষার্থী জেফ ওয়াইজের হামলায় সাতজন প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ আহত হয়েছিলেন কয়েকজন৷ হতাহতদের পরিবার স্থানীয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নয় কোটি ও স্কুলে সংকটকালীন সমস্যা মোকাবিলার পরিকল্পনা তৈরি করা একটি কোম্পানির সঙ্গে ১৩ কোটি টাকায় আপস করেছিল৷
ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটি, ২০০৭
শিক্ষার্থী সেয়ুং-হুইয়ের হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন৷ আহত ২৩ জন৷ হতাহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিবার স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল৷ কিন্তু ২০১৩ সালে ভার্জিনিয়া সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন যে, তৃতীয় পক্ষের কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করার আইনি দায়িত্ব স্কুলের নয়৷
স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুল, কানেক্টিকাট, ২০১২
অ্যাডাম লানজার গুলিতে ছয় ও সাত বছর বয়সি ২০ জন শিশু ও ছয়জন স্টাফ প্রাণ হারান৷ নিহত পাঁচ শিশু ও চার স্টাফের পরিবার হামলায় ব্যবহার করা বুশমাস্টার এআর-১৫ রাইফেল প্রস্তুতকারক রেমিংটন আর্মসের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল৷ পরে সেটি সাড়ে ছয়শ কোটি টাকায় রফা হয়েছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রে গুলির ঘটনায় কোনো অস্ত্র প্রস্তুতকারকের আপসে যাওয়ার এটিই প্রথম ঘটনা৷
মার্জোরি স্টোনম্যান ডুগলাস হাইস্কুল, ফ্লরিডা, ২০১৮
সাবেক শিক্ষার্থী নিকোলাস ক্রুজের হামলায় তিনজন স্টাফ ও ১৪ জন শিক্ষার্থী প্রাণ হারান৷ হামলার সময় স্কট পেটারসন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা স্কুলে দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন৷ কিন্তু গোলাগুলি চলার সময় তিনি বাইরে থাকায় ব্যাপক সমালোচিত হন৷ পরে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার মামলা করা হয়৷ এ বছরের শেষে বিচার শুরু হওয়ার কথা৷
সান্তা ফে হাইস্কুল, টেক্সাস, ২০১৮
শিক্ষার্থী দিমিত্রিয়স প্যাগুর্টজিসের শটগান ও রিভলবার দিয়ে চালানো হামলায় ১০ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হন৷ নিহত দুইজনের পরিবার হামলাকারীর পরিবারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিরাপদে না রাখার অভিযোগে মামলা করেছে৷ এছাড়া বয়স পরীক্ষা করে না দেখে অস্ত্র বিক্রি করায় অস্ত্র বিক্রির অনলাইন পোর্টাল লাকিগানার ডটকমের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে নিহত কয়েকজনের পরিবার৷ দুটি মামলারই প্রক্রিয়া শুরুর অপেক্ষায় আছে৷