1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল গাদ্দাফি

১৮ মার্চ ২০১১

বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদে লিবিয়ার উপর উড়াল নিষেধ এলাকা সৃষ্টির সিদ্ধান্তের পর গাদ্দাফি বাহিনী এবং বিদ্রোহীরা, উভয়েই যেন বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল৷ কিন্তু নতুন চাল চাললেন গাদ্দাফি৷

https://p.dw.com/p/10cHd
ছবি: AP

লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা কুসা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যাবতীয় সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার ঘোষণা দিলেন৷ অথচ ইতিপূর্বে গাদ্দাফি সৈন্যরা ট্যাংকসহ মিস্রাতা আক্রমণ করেছিল৷ পশ্চিমে ঐ একটাই বড় শহর এখনো বিদ্রোহীদের হাতে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী ট্যাংকগুলো মিস্রাতায় ঢুকে গোলা ছোঁড়ে, পরে আবার শহরের প্রান্তে ফিরে যায়৷ মিস্রাতা হল লিবিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর৷ গাদ্দাফির সৈন্যরা বেশ কয়েকদিন ধরে শহরটাকে অবরোধ করে রেখেছে৷

মিস্রাতা বড় শহর৷ কিন্তু পশ্চিম লিবিয়ায় জিন্তান এবং নালুতের মতো ছোট শহরগুলোতেও বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনীর যুদ্ধ চলেছে৷ নালুত টিউনিশিয়ার সীমান্তের কাছে৷ বিদ্রোহীরাই নালুতে সরকারি সৈন্যদের আক্রমণ করেছে৷ বলতে কি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করার পর বিদ্রোহীরা যেন নতুন সাহস পেয়েছে৷ যুদ্ধ এক কথা, কিন্তু তারা শুক্রবার খোদ রাজধানী ত্রিপোলিতে জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল৷ সেজন্য নাকি সরকারপক্ষ বিদেশী সাংবাদিকদের হোটেল ছেড়ে বেরুতে দিচ্ছিল না৷ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ত্রিপোলিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গাদ্দাফি অনুগামীদের থেকে থেকে গুলিবিনিময় হচ্ছে, বলে টুইটারে খবর বেরিয়েছিল৷

NO FLASH Libyen Kämpfe Rebellen
ছবি: AP

সে সবই এখন তামাদি হয়ে গেল৷ গাদ্দাফির স্ট্র্যাটেজি এবার পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে: ঐ স্বঘোষিত যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে তিনি আগামীতে সশস্ত্র সংঘর্ষের দায়িত্ব পুরোপুরি বিদ্রোহীদের কাঁধে তুলে দিলেন৷ অথচ বিগত কয়েকদিনে তার নিজের সৈন্যরা যতোটুকু জমি কাড়তে পেরেছে, সেটা তাদেরই রইল৷

একটি চালেই গাদ্দাফি সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপকে বিদ্রোহীদের তরফে সামরিক হস্তক্ষেপে পরিণত করে দিলেন৷ এখন তার কূটনৈতিক জবাব ভেবে বার করতে হবে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজকে৷ চীন, রাশিয়া, ভারতের মতো শক্তি যখন দ্বিধাগ্রস্ত, তখন ইরাক-আফগানিস্তানের সেই পুরনো পশ্চিমা জোটকে একা লিবিয়ার মোকাবিলা করতে হলে, তাদেরও উৎসাহ কতোদিন থাকবে, বলা শক্ত৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি রীতিমতো বিমান হানার পরিকল্পনা করার জন্য শনিবার বৈঠক ডেকেছেন৷ দেখা যাক, সেখানে কি সিদ্ধান্ত হয়, অথবা গাদ্দাফির প্রতি কি ধরণের দাবীদাওয়া পেশ করা হয়৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান