1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি

১৪ ডিসেম্বর ২০১০

শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় বাংলাদেশ আজ স্মরণ করেছে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের৷ এ দিনে দেশের সব শ্রেণীর মানুষ বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার দাবি করেছেন৷ দাবি করছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার৷

https://p.dw.com/p/QXwj
Sheikh Hasina
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাছবি: DW

একাত্তরের ১৪ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাত্র দু'দিন আগে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের দেশীয় দোসররা হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের৷ তারা চেয়েছিল, বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতে৷ মুনীর চৌধুরী, শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজুদ্দীন হোসেন, আনোয়ার পাশা, গিয়াস উদ্দিন হায়দার চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বি, ডা. আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভিনের মত বুদ্ধিজীবীদের তারা বাসা থেকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে৷

ভোরে সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ শ্রদ্ধা অর্পণ করেন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া৷ এরপর স্মৃতিসৌধ ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে মানুষের ঢল নামে৷ তারা শ্রদ্ধা জানান জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের৷ সেখানে সব শ্রেণীর মানুষ বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার দাবি করেন৷ দ্রুত বিচার দাবি করেন যুদ্ধাপরাধীদের৷ তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধারারও দাবি জানান৷

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক সৈয়দ আশরাফুর ইসলাম অভিযোগ করেন বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে চায়৷ তারা চায়না, একাত্তরের গণহত্যা আর বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার হোক৷

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকাসহ সারাদেশে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদের স্মরণ করা হচ্ছে৷ আলোক চিত্র ও তথ্য চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভায় উঠে আসছে বুদ্ধিজীবীদের চরম আত্মত্যাগ আর পাকিস্তানী সেনাদের বর্বরতার কথা৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক