1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সরকার রাজনীতি করছে’

১৬ ডিসেম্বর ২০১০

স্বাধীনতার ৪০ বছরে পদাপর্ণ করলো আজ৷ বিষয়টা যেমন গর্বের তেমন কিছুটা লজ্জারও৷ কারণ এখনো সম্ভব হয়নি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার৷ বর্তমান সরকার কাজ শুরু করেছে৷ কিন্তু কবে শেষ হবে বা আদৌ শেষ হবে কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের৷

https://p.dw.com/p/Qclq
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার কয়েকজনছবি: Harun Ur Rashid Swapan

এদেরই একজন জুলফিকার আলি মানিক৷ কাজ করেন ঢাকার একটি শীর্ষ দৈনিকে৷ তবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক কাজ করেছেন৷ আর বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোর দিকে নজর রাখছেন৷

তিনি বলছেন, ‘‘সরকার বিচারের জন্য যে ট্রাইব্যুনাল করেছে সেটা একটা ইতিবাচক দিক৷ কিন্তু সরকারের দুই বছর হতে চললো৷ এই পর্যায়ে এসে বিচারটা যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে তাতে মানুষের মনে একটা ধারণা জন্মেছে যে, সরকার এটা নিয়ে রাজনীতি করছে৷ যেমনটা করেছিল বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা নিয়ে৷''

মানিক বলেন, ‘‘১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল, সেসময় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকাজ শেষ করেনি৷ পরে এইবার আবার সেই কাজ সম্পন্ন করার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়েও সরকার যদি এই পরিকল্পনা করে থাকে তাহলে ভুল করবে৷''

তিনি বলেন, সরকার কথায় আন্তরিক কিন্তু তাদের কাজে আন্তরিকতা দেখা যাচ্ছেনা৷ কারণ দুই বছরে বিচারটা শুরুই করতে পারেনি তারা৷ আর জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সকলের কাছে বিচারটা গ্রহণযোগ্য করার একটা ব্যাপার আছে৷ সে ব্যাপারে সরকারের প্রস্তুতি খুব একটা আস্বস্ত হওয়ার মত নয়৷

স্বাধীনতার এই ৪০ বছরে অনেক কিছু হয়েছে৷ আবার হয়নি, এমন অনেক কিছুই আছে৷ মানিকও বলছেন প্রত্যাশার কথা বলতে গেলে অপ্রাপ্তির কথা চলে আসে৷

তবে ভবিষ্যতে প্রত্যাশা সম্পর্কে তিনি বলেন তাঁর মূল প্রত্যাশা হচ্ছে সুস্থ রাজনীতি৷ কারণ রাজনীতিবিদরা দেশ চালান৷ তাই রাজনীতি সুস্থ থাকলে প্রশাসন, অর্থনৈতিক অবস্থা সবই ঠিক থাকবে বলে মনে করেন তিনি৷

মানিক চান এমন একটা সমাজ যেখানে মানুষ নিরাপদে থাকবে, কোনো অনিশ্চয়তা থাকবেনা৷ কেউ সন্তানের শিক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগবেনা, আর কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়বেনা৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা