1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌন তাড়না মেটাতে নারীর ‘হাইহিল’!

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০

জার্মানির এক বেকার যুবক তার যৌন তাড়না মেটাতে নারীদের হাইহিল চুরি করতো৷ ধরা পড়ার পর যখন জানতে চাওয়া হল ওই উঁচু জুতো দিয়ে কী করত সে ? উত্তরে সে জানায় জুতো পুড়িয়ে তার ঘ্রাণ নিলেই নাকি তৃপ্ত হতো তার বাসনা৷

https://p.dw.com/p/M5Q8
ফাইল ফটোছবি: AP

জার্মানির একটি আদালতে এজন্য ২৭ বছর বয়সি ওই যুবকের কারাদণ্ড হয়েছে৷ অবশ্য তা মানসিক রোগ সারিয়ে তোলার বিশেষ কারাগার৷ আইনজীবীরা জানিয়েছেন, রোগ না সারা পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে তাকে৷ কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে৷

Schuhmode Sommer 2010
নারীর জুতোর প্রতি পুরুষের এমন প্রেম দেখা যায় বিজ্ঞাপন চিত্রেও (ফাইল ফটো)ছবি: DPA

শাস্তি হবেই না বা কেন? তিনি শুধু জুতো চুরিই করতেন না, পড়ে থাকা জুতো হলে তার চলে না৷ জুতোর অধিকারী রক্ত-মাংসের কোনো এক নারীকে জুতো পরা অবস্থায় তার দেখা চাই৷ যাকে বা যার জুতো দেখে তার ভাল লাগতো রাস্তা-ঘাটে বা বিপনী বিতানে সেই নারীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পা থেকে জুতো খুলে নিয়ে দৌড়ে পালাতো সে৷

কথায় আছে ‘‘চোরের সাতদিন তো গৃহস্থের একদিন''! এভাবে সাতজন নারীর ওপর হামলে পড়ে তাদের জুতো নিয়ে পালাতে পারলেও শেষবার তাকে ধরে ফেলে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে সক্ষম হয় জনতা৷ বন এবং পার্শ্ববর্তী কোলন শহরে ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে এই কাণ্ড করেছেন তিনি৷ অবশেষে ২০০৯ সালের জুলাইতে ধরা পড়ে ওই যুবক৷

Schuhmode Sommer 2010
জুতোর অধিকারী রক্ত-মাংসের কোনো এক নারীকে জুতো পরা অবস্থায় তার দেখা চাই (ফাইল ফটো)ছবি: DPA

পুলিশ বা আদালত কর্তৃপক্ষ তার নাম জানায়নি, শুধু জানিয়েছেন বন শহরের বাসিন্দা সে৷ বন আদালতের মুখপাত্র মাথিয়াস নর্ডমেয়ার জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে চুরির সাতটি অভিযোগ এবং শারীরিকভাবে হামলা করার চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে৷

প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার